Advertisement
Advertisement
Bangladesh Cricket Board

কোটি-কোটি টাকার নয়ছয়! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দপ্তরে হানা দিয়ে মিলল প্রচুর নথি

মূলত তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়েছে বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী শাখা।

Bangladesh anti-corruption commission raids Bangladesh Cricket Board's headquarters
Published by: Arpan Das
  • Posted:April 16, 2025 11:23 am
  • Updated:April 16, 2025 1:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। বাংলাদেশ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী শাখা মঙ্গলবার বিসিবি’র সদর দপ্তরে হানা দেয়। জানা যাচ্ছে প্রচুর নথি তারা বাজেয়াপ্ত করেছে। পরে বিসিবি’র চিফ এক্সিউকিউটিভ নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর উপস্থিতিতে দুর্নীতি বিরোধী শাখার তিন সদস্য সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

Advertisement

একটি ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় দেড় ঘণ্টা তল্লাশি চালায় আল আমিনের নেতৃত্বাধীন দল। মূলত তিনটি অভিযোগ বিসিবি’র বিরুদ্ধে। পরে বাংলাদেশের দুর্নীতিবিরোধী শাখার তরফ থেকে বলা হয়, আগের বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে আর্থিক অস্বচ্ছতার ও দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বাকি দুটি অভিযোগ হল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত দুর্নীতি ও ২০২০-২১ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আর্থিক অনিয়ম।

জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ তৃতীয় ডিভিশন লিগে অংশগ্রহণ করার জন্য দলগুলিকে যে টাকা দিতে হত, সেখানে ব্যাপক দুর্নীতির আশঙ্কা রয়েছে। প্রায় দশ বছর পর এই প্রতিযোগিতা ফের চালু হয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে একটি দলকে অংশগ্রহণের জন্য ৫ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা দিতে হত। যদিও এবছর দিতে হচ্ছে ১ লক্ষ বাংলাদেশি টাকা। কিন্তু যে ৬০টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে, তাদের আর্থিক লেনদেনে অস্বচ্ছতা আছে। অনেক দলকে অবৈধভাবে ছাড়ও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

এছাড়া ২০২০ সালে বিসিবি থেকে মুজিব শতবর্ষ পালনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যদিও কোভিডের জন্য সেটা পরের বছর হয়। সেখানে প্রায় ২৫ কোটি বাংলাদেশি টাকা খরচ হয়েছিল বলে দাবি ছিল। কিন্তু অভিযোগ, খরচ হয়েছিল মাত্র ৮ কোটি টাকা। বাকি ১৭ কোটি টাকা যে ‘গায়েব’ হয়ে গেল, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে এবারের বিপিএল নিয়ে অনেক প্রশ্ন এমনিতেই উঠেছে। অনেক প্লেয়ার টাকা না পেয়ে দল ছেড়েছেন। সেখানে গত বিপিএলে মোট আয় ১৩ কোটি বাংলাদেশি টাকা দেখানো হয়েছে। অথচ তার আগের বছরে মোট আয় ছিল ১৫ কোটি টাকা। হঠাৎ কীভাবে আয় বেড়ে গেল? সেটাতে দুর্নীতির ছায়া আছে বলে অভিযোগ। যদিও নিজাম উদ্দিন জানাচ্ছেন, দুর্নীতিবিরোধী শাখার সঙ্গে সহায়তা করতে তারা প্রস্তুত।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement