সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রবল হতদরিদ্র অবস্থা ছিল। পরার মতো জামাকাপড় ছিল না বলে বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করত না আত্মীয়রা। এমনকি নিজের উৎসবেও নতুন পোশাক কেনার ক্ষমতা ছিল না। সেই দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন। একের পর এক ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স করে গর্বিত করেছেন দেশকে। তবে সেই তারকা পেসারের কঠিন জীবন সংগ্রামের কাহিনি ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
মহিলাদের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। আর সেই জয়ের অন্য়তম কারিগর মারুফা আকতার। সাত ওভার বল করে মাত্র ২১ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন ২০ বছর বয়সি এই পেসার। তারপরেই মহিলা ক্রিকেটমহলে হইচই ফেলে দিয়েছেন মারুফা। দরিদ্র চাষির কন্যা মারুফার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলা-স্বপ্নপূরণের সেই কাহিনিও ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। ছোটবেলা থেকে কতখানি লড়াই করে জীবনে এগিয়েছেন মারুকা, সেই কাহিনি তুলে ধরেছেন একটি সাক্ষাৎকারে।
আইসিসির ওই সাক্ষাৎকারে মারুফা বলেন, “বিয়ে বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে আমাদের নিমন্ত্রণ করা হত না। কারণ আমরা এতই গরিব ছিলাম যে ওইসব অনুষ্ঠানে পরে যাওয়ার মতো জামাকাপড় কেনার ক্ষমতা ছিল না। যা পোশাক ছিল, সেই পরে অনুষ্ঠানে গেলে আমাদের সম্মান নষ্ট হত। এমনকি ইদের সময়েও নতুন জামাকাপড় কিনতে পারতাম না। আমার বাবা একজন চাষি, তাই আমাদের প্রবল অভাব ছিল।” সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন মারুফা।
কেবল অর্থাভাব নয়, ক্রিকেটার হওয়ার পথে সমাজের সঙ্গেও লড়তে হয়েছে মারুফাকে। পেসার হওয়ার স্বপ্ন মোটেও ভালো চোখে দেখেনি তাঁর সমাজ। কিন্তু আজ ক্রিকেট খেলে পরিবারের অভাব ঘুচিয়েছেন মারুফা। তাঁর কথায়, “আমি আজ যেভাবে পরিবারের পাশে থেকেছি, অনেক ছেলেও সেটা করতে পারে না। সেটা ভেবেই আমি শান্তি পাই।” তবে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানোর পর থেকে আর ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায়ের মুখে দাঁড়িয়ে নিগার সুলতানার দল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.