স্টাফ রিপোর্টার: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে যাওয়ার পর জাতীয় ক্রীড়া বিল এখন আইন হওয়ার পথে। একবার সেটা হয়ে গেলে দেশের সমস্ত ক্রীড়া সংস্থা তার আওতায় চলে আসবে। ক্রীড়া বিলের নিয়ম-কানুন অনুযায়ী সমস্ত ক্রীড়া সংস্থাকে চলতে হবে। যার মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও রয়েছে।
তবে গণ্ডগোল বাঁধিয়েছে আসন্ন বোর্ড নির্বাচন। আগামী সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহে যা হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করেছে জাতীয় ক্রীড়া বিল। এত দিন লোধা আইনে চলেছে ভারতীয় বোর্ড। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া বিল এলে তার আইন অনুযায়ী চলতে হবে। তাই এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, বোর্ড নির্বাচন নিয়ে কী করবে? লোধা আইন অনুসারে তা আপাতত সম্পন্ন করে অপেক্ষা করবে জাতীয় ক্রীড়া বিল প্রয়োগ হওয়ার? তারপর আবার নির্বাচন করবে? নাকি ক্রীড়া বিল আইন হওয়ার পর একেবারে নির্বাচন করবে?
বোর্ডমহলের খবর, আপাতত লোধা আইন অনুযায়ী নির্বাচন করার দিকে ঝুঁকে রয়েছে বোর্ড। তবে মন্ত্রকের সঙ্গেও সমান্তরাল ভাবে কথা চালাচ্ছেন বোর্ড কর্তারা। যদি মন্ত্রকের থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে যায় বোর্ড, তা হলে লোধা আইনেই নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলবে। পরে ক্রীড়া বিল আইন হিসেবে প্রয়োগ হলে তখন আবার নির্বাচন হবে। তবে মন্ত্রক যদি অপেক্ষা করতে বলে, তা হলে সব সমীকরণ আবার বদলে যাবে। অতএব, কিছুটা হলেও ধোঁয়াশা রয়েছে। ধোঁয়াশা অবশ্য আরও আছে। যেমন, ক্রীড়া বিল প্রয়োগ হওয়ার পর পুনরায় নির্বাচন হলে, লোধা নিয়ম অনুযায়ী যাঁরা এখন পদাধিকারী নির্বাচিত হবেন, তাঁদের মেয়াদ কত দিনের হবে? কারণ ক্রীড়া আইন অনুযায়ী নির্বাচনের সময় লোধা মতে নির্বাচিত যাঁরা, তাঁদের কাউকে কাউকে তো সরেও যেতে হতে পারে। তা হলে? দ্বিতীয় ধোঁয়াশা, পদাধিকারী হওয়ার আইন নিয়ে।
ক্রীড়া বিলে বলা রয়েছে, জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার পদাধিকারী হতে গেলে তিনটে শর্তের যে কোনও একটা পূরণ করলেই চলবে। এক, প্রার্থীকে স্পোর্টসপার্সন অফ আউটস্ট্যান্ডিং মেরিট হতে হবে। দুই, এক্সিকিউটিভ কমিটিতে প্রার্থীকে একটা টার্ম (চার বছর) পূর্ণ করতে হবে। তিন, প্রার্থীকে তাঁর সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত সংস্থায় প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জেনারেল কিংবা কোষাধ্যক্ষ হতে হবে। প্রশ্ন উঠছে, রাজ্য সংস্থার ক্ষেত্রে তাহলে কী হবে? রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার অনুমোদিত সংস্থা (অ্যাফিলিয়েটেড ইউনিট) যারা, তাদের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জেনারেল বা কোষাধ্যক্ষ কি সরাসরি রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার পদপ্রার্থী হতে পারবেন? তৃতীয়ত, প্রশাসনিক পদ। জাতীয় ক্রীড়া বিলে তিনটে পদের কথা উল্লেখ করা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট। সেক্রেটারি জেনারেল। এবং কোষাধ্যক্ষ। কিন্তু বর্তমানে তার চেয়ে বেশি পদ রয়েছে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোয়। অনেক ক্রিকেট সংস্থা ভবিষ্যতে সদস্যদের কথা ভেবে যথেষ্ট সংখ্যক ভাইস প্রেসিডেন্ট রাখতে ইচ্ছুক। সেই সমস্ত পদের কার্য ক্ষমতা না থাকলেও। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, জাতীয় ক্রীড়া বিল প্রয়োগের পর সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ পদ রাখা যাবে। হয় বিলে যে তিন পদের কথা উল্লেখ করা রয়েছে, সেই তিন। না হলে ক্রিকেট সংস্থার বর্তমান ‘বাই ল’জ’ অনুযায়ী। অর্থাৎ, ক্রিকেট সংস্থায় সর্বোচ্চ পাঁচ পদ থাকার সম্ভাবনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.