সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঠের বাইরের লড়াই অনায়াসে জিতেছে ভারত। কিন্তু মাঠের বাইরে ভারত-পাক লড়াই থামার নাম নেই। হ্যান্ডশেক বিতর্ক কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তা বোঝা যাচ্ছে না। পিসিবি যাই বলুক না কেন, তা পাত্তাই দিচ্ছে না ভারতীয় বোর্ড। এবার সূর্যদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন বিসিসিআইয়ের এক প্রতিনিধি।
সংবাদসংস্থা পিটিআই’কে বিসিসিআইয়ের এক কর্তা জানান, “আপনি যদি নিয়মাবলি খুলে দেখেন, সেখানে কিন্তু কোথাও প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। কোন নিয়মে বলা আছে যে হাত মেলাতেই হবে? এটা হয় শুধু সৌহার্দ্য বিনিময়ের জন্য। একটা টিমের বিপক্ষে খেলা ছিল, যাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয়। তাই ভারতীয় ক্রিকেটাররা ওদের সঙ্গে করমর্দন করতে একেবারেই বাধ্য নন।” একেবারে সাফ কথা।
আর যদি নিয়মে না থাকে, তাহলে বড়জোর স্পোর্টসম্যানশিপের কথা উঠতে পারে। আইসিসি বা এসিসি, কোনও নিয়মের দোহাই দিয়ে ভারতকে শাস্তি দিতে পারবে না। সে পাকিস্তান ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটকে নিয়ে যাই দাবি করে থাকুক না কেন। আর স্পোর্টসম্যানশিপের বিষয়ে সূর্যকুমার আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, “এটা পুরো টিমের সিদ্ধান্ত। আমরা স্রেফ ম্যাচটা খেলতে এসেছিলাম। আমরা ওদের যোগ্য জবাব দিয়েছি। কী জানেন, কিছু কিছু বিষয় রয়েছে, যা স্পোর্টসম্যানশিপের ঊর্ধ্বে।” আর একটা বিষয় হল, স্পোর্টসম্যানশিপ নিয়ে পাকিস্তানের মতো দলের ‘নাকি কান্না’ না কাঁদাই ভালো। তাদের যা ইতিহাস!
হ্যান্ডশেক বিতর্ক সম্ভবত এখানেই থামবে না। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, “যদি ভারত ২৮ সেপ্টেম্বর টুর্নামেন্টের ফাইনালে যায়, তাহলে প্লেয়াররা নকভির সঙ্গে এক মঞ্চে উঠবে না। এসিসি’র প্রধান হিসেবে ওঁরই ট্রফি হাতে তুলে দেওয়ার কথা।” এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান মহসিন নকভি। তিনি আবার পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানও। ফলে ‘যুদ্ধং দেহী’ মানসিকতা নিয়েই লড়াইয়ে প্রস্তুত বিসিসিআই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.