Advertisement
Advertisement

সকলেই কমবয়সি, রয়েছে তেরোর নাবালিকা, বেঙ্গালুরুর পদপিষ্টে মৃতদের তালিকা প্রকাশ পুলিশের

'কমবয়সি ছেলেমেয়েদের উপর তো লাঠি চালাতে পারি না', বলেছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী।

Bengaluru Stampede: 3 Teenagers, Youngest 13, All Under 40, list of victims
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 5, 2025 12:02 pm
  • Updated:June 5, 2025 12:03 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘কমবয়সি ছেলেমেয়েদের উপর তো লাঠি চালাতে পারি না’, বলেছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। তারপরও পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। সেই লাঠির ভয়ে পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর তাতে যাঁদের প্রাণ গিয়েছে তাঁরা সেই কমবয়সিরাই! বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সামনে বুধবার পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১১ জনেরই বয়স চল্লিশের নিচে। অন্তত ৩ জন নাবালক।

Advertisement

দুর্ঘটনার পর মৃতদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জনের বয়স উনিশের কম। ৬ জনের বয়স ২০-৩০ বছরের মধ্যে। দুজনের বয়স তিরিশের বেশি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজন ১৩ বছরের নাবালিকাও রয়েছে। অন্যান্য মৃতদের নাম ডোরেশা (৩২ বছর), ভূমিকা (২০ বছর), সাহানা (২৫ বছর), অক্ষতা (২৭ বছর), মনোজ (৩৩ বছর), শ্রাবণ (২০ বছর), দেবী (২৯ বছর), শিবলিঙ্গ (১৭ বছর), চিন্ময়ী (১৯ বছর), প্রজ্জ্বল (২০ বছর)। বুধবার কোহলিয়ানার সেলিব্রেশন চাক্ষুষ করতে সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের বাইরে পালে-পালে জনতা জড়ো হচ্ছিলেন। সেই ভিড়ের অধিকাংশই ছিল কমবয়সি। দুর্ঘটনায় চলে গিয়েছে ওই তাজা প্রাণগুলিও। 

সরকারের দাবি, বিনামূল্যে স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি দেওয়াটাই কাল হয়েছে। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা মাত্র ৩৩ হাজার। কিন্তু সেখানে দু’তিন লক্ষের বেশি মানুষ প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। তার ফলে স্টেডিয়ামের ছোট দরজা ভেঙে যায়। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার দাবি, “এত মানুষ চলে আসবেন, আমরা ভাবতে পারিনি। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা ৩৩ হাজার। সেখানে দু’তিন লক্ষ মানুষ ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। স্টেডিয়ামের দরজাটাও ছোট। ভিড়ের ঠেলায় তা ভেঙে যায়। এই জমায়েত কেউ আশা করেননি।”

সরকার যাই বলুক, প্রত্যক্ষদর্শীরা পুরোপুরি অব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ, মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, ছিল না ন্যূনতম ব্যবস্থাপনা। পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। আবার আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌছে দেওয়ার মতো অ্যাম্বুল্যান্সও ছিল না। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল কিছু ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশকর্মীরা আহতদের কোলে করে নিয়েই ছুটছেন। আবার কাউকে কাউকে ওই ভিড়ের মধ্যেই সিপিআর দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত গাফিলতির জায়গাটা স্পষ্ট।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ