Advertisement
Advertisement
CAB

রনজি ক্রিকেটারের থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ার অভিযোগ, আরও বিতর্কে সিএবির ‘বহিষ্কৃত’ যুগ্ম সচিব

আঙুল উঠছে সিএবির অন্য কর্তাদের বিরুদ্ধেও।

CAB official accused of taking bribe from Ranji Trophy player

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 26, 2025 4:19 pm
  • Updated:August 26, 2025 4:19 pm   

স্টাফ রিপোর্টার: ম্যাচ খেলানোর ‘প্রলোভন’ দেখিয়ে স্থানীয় এক ক্রিকেটারের থেকে মোটা অর্থ নেওয়ার অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছেন সিএবি-র যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ উঠে গেল। স্থানীয় ক্রিকেটমহলের অভিযোগ, বাংলার এক রনজি ক্রিকেটারের থেকেও অর্থ নিয়েছেন দেবব্রত!

Advertisement

ময়দানের একাংশের অভিযোগ, বছর কয়েক আগে বাংলা শিবিরে ‘সুযোগ’ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সেই রনজি ক্রিকেটারের থেকে নাকি চার লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন নির্বাসিত যুগ্ম সচিব (যিনি আবার টাউন কর্তাও বটে)। দেখতে গেলে অভিযোগ হিসেবে এটা আরও মারাত্মক। শুধু তাই নয়, ময়দানের লোকজনের আরও অভিযোগ, অতীতে এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেবব্রত লিখেছিলেন যে, তাঁর পরিবারের একজনের নামে নাকি শহরে ন’খানা ফ্ল্যাট রয়েছে! যা সত্যি হলে, অনেকে সেই অর্থের উৎস জানতে আগ্রহী!

এ নিয়ে দেবব্রতকে ফোন করায় তিনি প্রশ্ন শোনার আগেই বলে দিলেন, “পুরোটাই বিচারাধীন বিষয়। যা বলার, আগামীকাল বিকেলের পরে বলব।” ময়দানের কারও কারও মতে, আরও আগে, আরও বড় শাস্তি হওয়া উচিত ছিল দেবব্রত-র। যখন তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় ক্রিকেটে গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছিল। যে ঘটনা সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন প্রাক্তন বাংলা ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী। কিন্তু সেই সময় সিএবি তার যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই নেয়নি। বরং প্রবলভাবে ‘নিষ্ক্রিয়’ থেকেছে। অথচ দেখতে গেলে, গড়াপেটার চেয়ে ঘৃণ্য অপরাধ আর ক্রিকেটে হয় না। এবারও অনেকে একটা বিষয় দেখে বেশ আশ্চর্য। তা হল, যে অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে দেবব্রতকে নির্বাসনে পাঠানো হল, তার বারো দিন কেটে যাওয়ার পরেও তাঁকে কোনও নির্বাসনের সরকারি চিঠি ধরানো হয়নি! তা ছাড়া সিএবি-র যে পাওনা ছিল তাঁর থেকে, সেই বাবদ তিন লক্ষ পঁচাশি হাজার টাকার চেকের প্রাপ্তি চিঠি পাঠিয়ে স্বীকার করেছে বাংলা ক্রিকেট সংস্থা। সঙ্গে বলা হয়েছে, বকেয়া পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা টাউনের সঙ্গে ‘অ্যাডজাস্ট’ করে নেওয়া হবে।

দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়। ময়দানের আরও বেশ কয়েকটা প্রশ্ন রয়েছে। একাংশের বক্তব্য হল, টাউন এবং বাংলা খেলিয়ে দেওয়ার ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে এক স্থানীয় ক্রিকেটারের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন দেবব্রত, বলা হচ্ছে। যে কারণে তাঁকে নির্বাসনেও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও দেখা উচিত, সেই সময় টাউন ক্লাবের সচিব মোটেও দেবব্রত ছিলেন না। ছিলেন দেবানিক দাস। তা হলে কী করে তাঁর দৃষ্টি এড়িয়ে এত বড় একটা ‘কাণ্ড’ ঘটে গেল? কেন তাঁকে ডেকে সব কিছু জিজ্ঞাসা করা হল না? বলা হচ্ছে, টাউন বা বাংলা টিম, কোথাওই দেবব্রত-র সই ছিল না। সঙ্গে এটাও বলা হচ্ছে, একই রকম আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ গুরুতর উঠেছে অম্বরীশ মিত্র এবং সিএবি কোষাধ্যক্ষ প্রবীর চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। কেন তা হলে তাঁরা ‘রেহাই’ পাচ্ছেন? বলা হচ্ছে, দিন শেষে অপরাধ, অপরাধই। ‘এক যাত্রা’-য় পৃথক ফল হবে কেন?

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ