সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশ সফরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া। সম্ভবত এই ইস্যুতেই ভারতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচ গৌতম গম্ভীরের মতানৈক্য প্রথম প্রকাশ্যে আসে। গম্ভীরের দাবি মেনে বোর্ড বিদেশ সফরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিবৃতিও জারি করে। পরে বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা প্রকাশ্যেই সেই ফতোয়ার বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু কোচ গৌতম গম্ভীর নিজের যুক্তিতে এখনও অনড়। তিনি বলছেন, “দেশের হয়ে বিদেশে খেলতে যাওয়াটা ছুটি কাটানো নয়। সেটা সকলকে বুঝতে হবে।”
ভারতীয় দলের হেডকোচ এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে। তরুণ টিম ইন্ডিয়ার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। লর্ডসে তৃতীয় টেস্ট চলাকালীনই কোচ গম্ভীর বলে গেলেন, “আমি জানি পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে এখানে আমরা একটা উদ্দেশ্যে এসেছি। ছুটি কাটাতে নয়।” গম্ভীরের কথায়, “এই ড্রেসিংরুমে খুব কম মানুষই এমন আছেন যারা দেশকে গর্বিত করার সুযোগ পান। সেদিকেই লক্ষ্য থাকা উচিত।”
কোচ গম্ভীরের সাফ কথা, “আমি পরিবারের বিরোধী নই। পরিবার ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে আমাদের মূল ফোকাস হওয়া উচিত দেশকে গর্বিত করা। সেটা অনেক বড় কাজ। আর সেই লক্ষ্যে আমাদের সকলের মনোযোগ থাকা উচিত।” ভারতীয় দলের হেডকোচ বলছেন, “আমাদের সবার উচিত নিজেদের লক্ষ্যে অটুট থাকা। তার পর বাকি সবটা চলতেই পারে।”
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির পরই বিদেশ সফরে ক্রিকেটারদের পরিবারের যাওয়া নিয়ে কড়াকড়ি করেছিল বোর্ড। ওই সিরিজের পর দশদফা নির্দেশিকা জারি করেছিল বিসিসিআই। তার মধ্যে একটা ছিল, পরিবার নিয়ে বিদেশ সফরে যাওয়ায় বিধিনিষেধ। বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিদেশ সফরে আর পূর্ণ সময়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাখতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। ৪৫ দিনের সফরে সর্বাধিক ১৪ দিন পরিবারকে সঙ্গে রাখা যাবে। তার চেয়ে কম দিনের সফর হলে সেটা এক সপ্তাহ। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি করেন বিরাট কোহলি। কেউ কেউ মনে করেন, কোচ গম্ভীরের সঙ্গে বিরাট-রোহিতদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিবাদের কারণও এটাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.