Advertisement
Advertisement
Vinod Kambli

পার্টিতে উড়িয়েছেন লাখ-লাখ টাকা, ছেড়েছেন চাকরিও! প্রকাশ্যে ‘বেপরোয়া’ কাম্বলির নয়া গল্প

দু'হাত ভরে রোজগার করলেও বেহিসেবি হয়ে ব্যয় করেছেন তিনি।

He blew lakhs of rupees on a party, even quit his job! Vinod Kambli's new story of being 'reckless' in public

ফাইল ছবি

Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:June 30, 2025 7:58 pm
  • Updated:June 30, 2025 7:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস ছয় আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। এর আগে এক অনুষ্ঠানে তাঁর অসংলগ্ন আচরণের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি একটা সময় আর্থিক সমস্যায় জেরবার হয়ে পড়েছিলেন বিনোদ কাম্বলি। অথচ এই কাম্বলিই এককালে টাকার পরোয়া করেননি। এমনকী চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন টেস্ট খেলে রোজগার করবেন বলে।

সব কিছু ঠিকঠাক চললে এভাবে অভাবে থাকতে হত না তাঁকে। সেই তিনিই এখন ‘গরিব থেকে ফকির’-এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। শুনলে অবাক লাগবে, অর্থ খরচের প্রতি বেলাগাম ছিলেন কাম্বলি। কিন্তু ‘আজকে রাজা কাল সে ফকির মজার দুনিয়া’র এককোণে আর্থিক সমস্যায় জেরবার তিনি। একটা সময় ইংল্যান্ডে পার্টটাইম চাকরির প্রস্তাব পেয়েছিলেন। রাজি হননি। কিন্তু কেন রাজি হননি তিনি? এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে নতুন তথ্যও।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ব্যবসায়ী সলি অ্যাডাম বলেন, “একদিন আমরা ১০ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। বিনোদ এবং শচীন ছাড়া সকলেই পার্টটাইম চাকরি করত। মুম্বইয়ের একজন ক্রিকেটার বিনোদকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি তো প্রতি মাসে ২৫ পাউন্ড আয় করো। তাহলে সলির কোম্পানিতে কাজ করছ না কেন?’ কাম্বলি তৎক্ষণাৎ উত্তর দেয়, ‘আমি আর শচীন টেস্ট খেলে টাকা রোজগার করব। তাই পার্টটাইম চাকরি করে মনোযোগ নষ্ট করতে চাই না।’ সেই সময় বয়স কম ছিল ওর। তরুণ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সে। অমন আত্মবিশ্বাস দেখে তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।

প্রসঙ্গত, অনেক ক্রিকেটারকে ইংল্যান্ডে কাউন্টিতে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন সলি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর। ‘লিটল মাস্টার’ ইয়র্কশায়ারে খেলেছিলেন। পরে তিনিই ইংল্যান্ডে নিয়ে গিয়েছিলেন কাম্বলিকে। সলির কথা থেকে জানা যায়, এই কাম্বলিই বাবার কাছ থেকে ৭০০ পাউন্ড নিয়েছিলেন। তারপর মুম্বইয়ে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে পার্টি করে পুরো টাকাটাই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। দু’হাত ভরে রোজগার করলেও বেহিসেবি হয়ে ব্যয় করেছেন। এই ৭০০ পাউন্ড কিন্তু রোজগার করেছিলেন কাম্বলি স্বয়ং। সেই টাকা বাবার কাছে রেখে এলেও পরে সেই টাকা ‘ফুর্তি’ করেই শেষ করে দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল কাম্বলিকে। জানা গিয়েছিল, প্রস্রাবের সংক্রমণে ভুগছিলেন। এর আগে ২০১৩ সালে দু’বার অস্ত্রোপচার হয় কাম্বলির। তখন চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর। প্রসঙ্গত, দেশের হয়ে ১০৪টি ওয়ানডে ও ১৭টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। কেরিয়ারের শুরুতে অনেক মাইলফলকই অর্জন করেছিলেন। পরপর দু’টি দ্বিশতরানের রেকর্ডও তাঁর নামে। কিন্তু অচিরেই হারিয়ে গিয়েছেন ক্রিকেট থেকে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement