Advertisement
Advertisement
Hardik Pandya

‘ওর উপর মানসিক অত্যাচার হয়েছে…’ হার্দিকের লড়াইয়ের গল্প রুপোলি পর্দায় দেখতে চান প্রাক্তন ক্রিকেটার

তাঁর জীবনে রয়েছে হার না মানা এক বাজিগরের গল্প, মনে করছেন প্রাক্তন ওই ক্রিকেটার।

'He was mentally tortured...' Hardik Pandya's struggle story may be a biopic! says former cricketer

ফাইল ছবি

Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:March 20, 2025 12:47 pm
  • Updated:March 20, 2025 2:15 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ মাসে উথালপাতাল জীবন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর রাতারাতি ওয়াংখেড়ের ‘শত্রু’ বনে যাওয়া। স্টেডিয়ামজুড়ে কটূক্তি। সেখান থেকে ফিরে এসে টি-২০ বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সামান্য সময়ের ব্যবধানে চূড়ান্ত মানসিক যন্ত্রণা থেকে সাফল্যের শীর্ষে পৌছেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। হার্দিকের সেই লড়াইয়ের কাহিনি ফুটে উঠুক রুপোলি পর্দায়। এমনটাই চাইছেন প্রাক্তন ভারতীয় তারকা মহম্মদ কাইফ (Mohammad Kaif)। তিনি বলছেন, “ভারতীয় ক্রিকেটের এই ‘বাজিগর’কে নিয়ে হতেই পারে গোটা একখান বায়োপিক।”

Advertisement

আইপিএলের গত মরশুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। মুম্বইকে ছ’বার চ্যাম্পিয়ন করানো অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সরিয়ে ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হার্দিক পাণ্ডিয়ার কাঁধে। এরপর যখনই তিনি ওয়াংখেড়েতে নেমেছেন, ধিক্কার জানিয়েছে ভক্তরা। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করতে গেলেই দর্শকদের কাছ থেকে হজম করতে হত কটূক্তি। কুকুরের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছিল তাঁকে। তারপরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন। শেষ ওভারে বিশ্বকাপ জিতিয়ে সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন হার্দিক। নায়কের মতো ফিরেছিলেন সেই ওয়াংখেড়েতেই। আর সদ্য জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। সেখানেও হার্দিক ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। সব মিলিয়ে পাণ্ডিয়ার জীবন অনেকটা রূপকথার মতো। সেখানে চড়াই-উতরাই রয়েছে। রয়েছে হার না মানা এক বাজিগরের গল্প।

‘হারকে জিতনেওয়ালে কো বাজিগর কহেতে হ্যায়’। ভারতীয় ক্রিকেটের এই ‘বাজিগর’কে নিয়ে হতেই পারে গোটা একখান বায়োপিক। যার পক্ষে সওয়াল করেছেন মহম্মদ কাইফ। তাঁর মতে, হার্দিককে নিয়ে বায়োপিক হওয়া উচিত। কাইফ বলছেন, “প্রত্যেক মুহূর্তে মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে হার্দিককে। ওর জীবনের খুব খারাপ অধ্যায় এটা। এই যন্ত্রণা সহ্য করেই ওর প্রত্যাবর্তন। দর্শকদের কাছ থেকে অপমান সহ্য করে, এগিয়ে যাওয়া কিন্তু খুবই কঠিন। একজন খেলোয়াড় হিসেবে একটু বুঝতে পারি।”

কাইফের সংযোজন, “তাকে পছন্দ না হতে পারে। এমনকী তাকে দল থেকেও বাদ দিতে পারেন। তা বলে অপমান করতে পারেন না। এটা মানসিক অত্যাচারের মতো। হার্দিকের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। এত কিছুর পরেও ও কিন্তু টি-২০ বিশ্বকাপে খেলে। তারপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ও জাম্পার বিরুদ্ধে বিরাট সব ছক্কা হাঁকায়। ব্যাটে বলে সিংহের মতো লড়েছে ও। যদি কখনও হার্দিকের উপর বায়োপিক হয়, তাহলে গত সাত মাসে ওর লড়াইয়ের গল্প অন্যদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে। কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করতে হয়, শান্ত থাকতে হয়, নিজের শক্তির উপর আস্থা রেখে ফিরে আসতে হয়, তা দেখিয়ে দিয়েছে হার্দিক।”

 
 
 
 
 
View this post on Instagram
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ