Advertisement
Advertisement
Sachin

‘জীবনের ১০-১২ বছর অস্থিরতায় কাটাতে হয়েছে’, হতাশার কথা জানালেন শচীন

অতিমারীতে মানসিক সুস্থতা নিয়ে মুখ খুললেন মাস্টার ব্লাস্টার।

I dealt with anxiety for 10-12 years: Sachin Tendulkar | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:May 17, 2021 2:51 pm
  • Updated:May 17, 2021 3:38 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ বছরের সুদীর্ঘ ক্রিকেটজীবনের একটা লম্বা সময় তিনি উদ্বেগ, অস্থিরতা নিয়ে কাটিয়েছেন দিনের পর দিন। এক কিংবা দুই নয়, টানা দশ-বারো বছর। পরের দিকে অবশ্য শচীন রমেশ তেণ্ডুলকর বুঝতেন, এই মানসিক উদ্বেগ আর অস্থিরতা সবই আদতে তাঁর ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি পর্ব।

Advertisement

‘মানসিক সুস্থতা’- এই শব্দবন্ধ অতিমারীর সময় প্রবলভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। ক্রিকেটার-সহ বহু বিশিষ্টরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপরে গুরুত্ব দিচ্ছেন। মানসিক সুস্থতা নিয়ে বলতে শুরুও করেছেন। হালফিলে ক্রিকেটে জৈব সুরক্ষা বলয়, দিনের পর দিন গৃহবন্দি থাকা, এ সব বিষয়গুলো প্রবলভাবে চর্চিত হচ্ছে। বলতে গেলে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গই হয়ে গিয়েছে। যে কারণে মানসিকভাবে ভাল থাকাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ক্রিকেটারদের কাছে।

শচীন (Sachin Tendulkar) নিজের উদাহরণ পেশ করে বলেছেন, এ সবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কোনও রাস্তা আর নেই। “দীর্ঘ ক্রিকেটজীবনে আমি বুঝতে পেরেছি, শারীরিকভাবে ফিট থাকলে বা প্রস্তুত থাকলেই চলে না। মানসিকভাবে ভাল থাকাটাও সমান জরুরি। আমার ম্যাচ মাঠে শুরু হত না। তার অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে যেত। টেনশনও হত প্রবল। অস্থির লাগত।” এক ওয়েবিনারে বলে দিয়েছেন শচীন। এরপরই যোগ করেন, “প্রায় দশ-বারো বছর আমাকে এই অস্থিরতা নিয়ে কাটাতে হয়েছে। ম্যাচের আগে রাতের পর রাত ঘুমোতে পারিনি। পরের দিকে বুঝতে পারি, আমার প্রস্তুতির এটাও একটা বড় অঙ্গ। পরের দিকে অবশ্য মনের সঙ্গে সমঝোতা করে নিয়েছিলাম। ঠিক করেছিলাম, ম্যাচের আগের দিন যদি ঘুমোতে না পারি, তাহলে মনকে ফুরফুরে রাখার চেষ্টা করব।”

[আরও পড়ুন: এবার বড়সড় আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলকে, জানেন কেন?]

কিন্তু সেই মনকে ভাল রাখার উপায় কী? শচীনের কথায়, ম্যাচের আগে তিনি শ্যাডো করতেন। ভিডিও গেম খেলতেন। টিভি দেখতেন। “কখনও কখনও চা বানানো বা নিজের জামাকাপড় ইস্ত্রি করাও আমার ম্যাচ প্রস্তুতিতে কাজ দিত,” বলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “ম্যাচের আগের দিনই আমি আমার ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিতাম। এটা দাদা আমাকে শিখিয়েছিল। পরের দিকে যা অভ্যেস হয়ে যায়। ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার দিনও তা-ই করেছি আমি।” ক্রিকেটের লিটল মাস্টারের কথায়, ক্রিকেটারের জীবনে চড়াই-উতরাই থাকবেই। কিন্তু উতরাইকে মেনে নিতে পারাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।

শচীন মনে করিয়ে দিচ্ছেন, জীবনের পাঠ নেওয়ার জন্য কোনও নির্দিষ্ট গুরুকুল হয় না। যে কারও থেকে সেটা নেওয়া যায়। যেমন চেন্নাইয়ের হোটেলের এক স্টাফকে আজও মনে রয়েছে শচীনের। “ধোসা অর্ডার করেছিলাম। তা উনি এসে সার্ভ করে আমাকে বললেন, এলবো গার্ডের জন্য আমার ব্যাট সুইং সমস্যায় পড়ছে। যা একদম ঠিক বলেছিল। উনি কিন্তু আমার সমস্যাটার সমাধান করে দিয়েছিলেন। তাই শিক্ষা যে কারও থেকে যে কোনও সময় নেওয়া যায়।” সত্যি, একশো সেঞ্চুরির মালিক কি আর এমনি হয়েছেন শচীন?

[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় শামিল দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের সংস্থাও, খাবার তুলে দিল অভুক্তদের মুখে]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement