Advertisement
Advertisement
ICC PCB

বয়কট নাটকের জেরে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান! আইসিসির পত্রবোমা পিসিবিকে

এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকি দিলেও তা থেকে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে পিছু হঠতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

ICC writes to PCB mentioning irregularities in Asia Cup

ফাইল ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:September 19, 2025 10:57 am
  • Updated:September 19, 2025 10:57 am  

শুভায়ন চক্রবর্তী, দুবাই: এশিয়া কাপ বয়কটের হুমকি দিলেও তা থেকে শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে পিছু হঠতে হয়েছে পাকিস্তানকে। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হাস্যস্পদ হয়েছে পাক বোর্ড। এবার তাদের বিড়ম্বনা আরও বাড়ছে। এমনকী কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে পারে টিম পাকিস্তান!

Advertisement

ঠিক কী হয়েছে? বৃহস্পতিবার আইসিসি সিইও সংযোগ গুপ্তা একাধিক অভিযোগ তুলে কড়া ইমেল করেছেন পাকিস্তান বোর্ডকে। পাকিস্তান যে আমিরশাহী ম্যাচে একাধিক বার ‘প্লেয়িং কন্ডিশন’-এর আইন ভেঙেছে, তার উল্লেখ করা হয়েছে ওই ইমেলে। তিনটে বিষয় লেখা হয়েছে সেই ইমেলে: ১) সংযুক্ত আরব আমিরশাহি বনাম পাকিস্তান ম্যাচকে বিলম্বিত করা। ২) ম্যাচ রেফারির ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়া এবং সরকারি বিবৃতিতে মিথ্যাচার করা। ৩) প্লেয়ার্স অ্যান্ড ম্যাচ অফিশিয়াল এরিনায় (পিএমওএ) অন্যায্য ভাবে প্রবেশ ঘটানো।

ভারত-যুদ্ধের ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে অপসারণের দাবি তুলে পাকিস্তান কী নাটক করছিল, এতদিনে সবার জানা হয়ে গিয়েছে। পাইক্রফটকে না সরানো হলে তারা আমরশাহী ম্যাচ খেলবে না, এহেন হুমকিও দিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরে চাপে পড়ে ম্যাচ খেলতে বাধ্য হয় তারা। আমিরশাহী ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পরে। জানা গেল, আমিরশাহী ম্যাচের দিন দফায় দফায় বৈঠকের পর ঠিক হয় যে, পাইক্রফটের সঙ্গে পাকিস্তান কোচ মাইক হেসন, অধিনায়ক সলমন আলি আগা এবং আইসিসি-র জেনারেল ম্যানেজার ওয়াসিম খান বসে মিটমাট করে নেবেন মাঠে পৌঁছে। কিন্তু সেই দলে পাকিস্তনের মিডিয়া ম্যানেজার নইম গিলানিও ঢুকে পড়েন। শোনা যাচ্ছে, তিনি বৈঠক চলাকালীন পাইক্রফটের ঘরে ঢুকতে যান। কারণ, তাঁকে পাক বোর্ড থেকে বলা হয়েছিল কথাবার্তা যা হচ্ছে, পুরোটা ফিল্ম করতে।

কিন্তু আইন অনুযায়ী, ম্যাচ রেফারির ঘরে কোনও টিম ম্যানেজার ঢুকতে পারেন না। কথাবার্তা ফিল্ম করা দূরের কথা। কারণ সেটা ‘পিএমওএ’ এরিয়া। তাঁকে আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকরা একাধিক বার জায়গা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। কিন্তু গিলানি তা শোনেননি। উল্টে পাক বোর্ড থেকে ফের শাসানো হয় যে, যদি গিলানিকে ঘরে ঢুকে সমস্ত কিছু রেকর্ড করতে না দেওয়া হয়, তারা খেলা বয়কট করবে। এটাও বলা হচ্ছে, সেই বৈঠক শেষে পাক বোর্ড থেকে যে বিবৃতি পেশ করে বলা হয়েছে পাইক্রফট ‘ক্ষমা’ চেয়েছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। পাইক্রফট ক্ষমা চাননি। তিনি বলেছিলেন, টসের সময় যদি কোনও ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকে, তা হলে সেটা পিছনে ফেলে সামনের দিকে তাকাতে।

এরপরই পাক বোর্ডকে এ দিন আইসিসি-র কড়া ইমেল। যেখানে আইন ভাঙার বিবিধ উদাহরণ পেশ করা হয়েছে। কেউ কেউ বললেন, পাক বোর্ড নাকি ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে একটা ইমেল ড্রাফট করে রেখেছিল। যেখানে লেখা ছিল, সূর্যকুমার যাদব পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করেছেন (অপারেশন সিঁদুরে অংশ নেওয়া দেশের সেনাবাহনীকে জয় উৎসর্গ করেছিলেন সূর্য)। কিন্তু সেই ইমেলের আগেই আইসিসি-র পত্রবোমার মুখে পড়ে গেল পাক বোর্ড। পরিস্থিতি যা, এর ফলে তাদের উপর কড়া শাস্তির প্রকোপ নেমে আসতে পারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement