ভারত (প্রথম ইনিংস)- ২০৪/৬ (করুণ নায়ার ৫২ অপরাজিত, সাই সুদর্শন ৩৮, অ্যাটকিনসন ৩১-২, টাং ৪৭-২)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বারে বারে থামল খেলা। তবু বৃষ্টির চোখরাঙানি সত্ত্বেও প্রথম দিনে ম্যাচ গড়াল ওভালে। একই ভাবে গ্রিন টপে ইংল্যান্ডের বোলিংয়ের দাপটের মধ্যেও লড়ে গেলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এই লড়াইটা কাজে দেবে কিনা তা বলে দেবে দ্বিতীয় দিন। ইংল্যান্ডের ব্যাটাররাও যদি দ্রুত আউট হতে থাকেন, সেক্ষেত্রে লো স্কোরিং ম্যাচে এই লড়াইটাই ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। আর এই লড়াইয়ে আলাদা করে যাঁর কথা উল্লেখ করতেই হবে তিনি করুণ নায়ার। টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে পারে এই ম্যাচেই।
টস জিতে এদিন বল করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক অলি পোপ। চতুর্থ ওভারেই আউট হয়ে যান ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। ১৬ তম ওভারে মাত্র ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কেএল রাহুলও। তারপরেই বৃষ্টির কারণে দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে ফের মাঠে নামেন ক্রিকেটাররা। ধীরে ধীরে পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক গিল এবং সাই সুদর্শন। কিন্তু বিপজ্জনকভাবে রান নিতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন গিল। ২১ রানে আউট হন তিনি। শুভমান আউট হওয়ার পর ফের ঝেঁপে বৃষ্টি আসে ওভালে। আবারও খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। বোঝা যাচ্ছিল না আর খেলা হবে কিনা। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ফের খেলা শুরু হয়। এবার ফিরলেন সাই সুদর্শন (৩৮)। তবে গিলের মতো উইকেট ছুড়ে নয়, একেবারেই আনপ্লেয়েবল একটি ডেলিভারিতে। অফস্টাম্পের বাইরে পিচ খাওয়া বলটা এমন ভাবে বেঁকল এবং তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ল ইংল্যান্ডের উইকেট রক্ষক স্মিথের গ্লাভসে- মানতেই হবে এমন বোলিং দেখতেই মানুষ গ্যালারিতে ভিড় জমান। মনে হচ্ছিল গত ম্যাচের নায়ক জাড্ডুকেই টানতে হবে দলের ইনিংস। কিন্তু আপার কাটে চার মেরে পরের বলেই তাঁকে ফিরতে হল (৯)। এবং এই ডেলিভারিটি যেন সাই সুদর্শনের আউট হওয়ার বলটিরই অবিকল প্রতিলিপি।
ধ্রুব জুড়েল ও করুণ নায়ার ধীরে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত আউট হয়ে যান ধ্রুব (১৯)। ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে লড়াই জারি রেখেছেন করুণ নায়ার। তাঁদের পার্টনারশিপের মতো করুণের নিজের হাফসেঞ্চুরিও হল খেলার একেবারে শেষদিকে। এই ম্যাচ তাঁর কাছে অগ্নিপরীক্ষা। একথা ভালোই জানেন করুণ।শার্দূল ঠাকুরের পরিবর্তে দলে ফিরে দাঁতে দাঁত চিপে তাঁর লড়াই-ই এখনও ভারতকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছে, একথা বললে অত্যুক্তি হবে না।সিরিজে এটাই তাঁর প্রথম অর্ধশতরান। কেবল সিরিজই নয়, শেষবার যখন তিনি পঞ্চাশ পেরোন, সেবার করেছিলেন অপরাজিত ৩০৩!
টিম ইন্ডিয়ার কাছে মরণবাঁচনের এই ম্যাচ। এমনকী ড্র হলেও সিরিজ খোয়াতে হবে। কাজেই ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচে বিলেতের মাঠ কার্যতই রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে গিলদের জন্য। নিয়মিত উইকেট খুইয়েও লড়াই কিন্তু ছাড়েনি মেন ইন ব্লু-রা। অন্তত প্রথমদিনের হিসেব তাই বলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.