ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল? দিল্লির ‘মরা’ পিচে পালটা লড়াই করলেন ক্যারিবিয়ানরা। তাতে হয়তো ম্যাচ বাঁচাতে পারবে না। কিন্তু শাই হোপসদের ব্যাটিংয়ে ১২ বছর পর ঘরের মাঠে গর্বের দৌড় গৌতম গম্ভীরের দলের। ৩ উইকেট তুললেও লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে পারলেন না কুলদীপ যাদব।
তৃতীয় দিনের শেষে ক্যাম্পবেল-হোপের ব্যাটে ইনিংসে হার এড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই স্বপ্ন সত্যি হল। ক্যারিবিয়ান ওপেনার ক্যাম্পবেল ১৯৯ বলে ১১৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১২টি চার, ৩টি বিশাল ছক্কা দিয়ে। অন্যদিকে শাই হোপও লড়াই চালিয়ে যান। মহম্মদ সিরাজ তাঁকে ১০৩ রানে আউট করেন। শেষবেলায় মাটি কামড়ে পড়েছিলেন জাস্টিন গ্রিভস। শেষ পর্যন্ত ফলোঅনের গেরো কাটিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯০ রান করে। ভারতের জন্য লক্ষ্য রাখে ১২১ রানের।
২০১২ সালের পর এই প্রথমবার ডিক্লেয়ার করার পরও ঘরের মাঠে ব্যাট করতে নামতে হবে ভারতকে। আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওই টেস্টের ভারত আটটি টেস্ট ফলো-অন করিয়ে জিতেছে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুটি টেস্ট ড্র হয়েছে। কিন্তু আর ব্যাট করতে নামতে হয়নি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট কুলদীপ যাদব ও জশপ্রীত বুমরাহর। ২ উইকেট মহম্মদ সিরাজের। কুলদীপ অবশ্য ১০৪ রান দেন। এই প্রথমবার টেস্টের এক ইনিংসে ১০০ রান দিলেন ভারতের বাঁহাতি স্পিনার।
সব মিলিয়ে নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফলো অন করানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল? প্রথম দু’টো দিন অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের পিচে যতটা ঘূর্ণি ছিল, ম্যাচের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ভ্যানিশ। দিল্লির পিচ হয়ে গিয়েছে স্লো। সেই কারণে স্পিনারদের বল ঘুরলেও সেই বলে গতি ছিল না। ভারতীয় বোলাররা প্রায় টানা আড়াই দিন বল করলেন। ক্লান্তি একটা সমস্যা হতে পারে। আবার অনেকে মনে করছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফলোঅনে পাঠানো ‘ঔদ্ধত্যের’ পরিচয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.