প্রথম ইনিংস
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৬২ (গ্রিভস ৩২, হোপ ৩২, সিরাজ ৪০/৪, বুমরাহ ৪২/৩)
ভারত: ৪৪৮/৫ ডিক্লেয়ার (জুরেল ১২৫, জাদেজা ১০৪*, রাহুল ১০০, চেজ ৯০/২, জেডেন ৫৩/১)
দ্বিতীয় ইনিংস
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৪৬ (আথাঞ্জে ৩৮, জাদেজা ৫৪/৪, সিরাজ ৩১/৩)
ভারত এক ইনিংস ও ১৪০ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশের মাঠে কঠিন লড়াই লড়ে এসেছে টিম ইন্ডিয়া। সেই তুলনায় ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনেক সহজ প্রতিপক্ষ। ক্যারিবিয়ানরা এখন আর ‘দৈত্য’ নয়, ‘লিলিপুট’ বলা যায়। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারত যে জিতবে, তা দ্বিতীয় দিনের শেষেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তৃতীয় দিনের অর্ধেকও প্রয়োজন হল না ভারতের জয়ের জন্য। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হল ১৪৬ রানে। দেশের মাটিতে টেস্টজয়ের ‘শুভ সূচনা’ হল অধিনায়ক শুভমান গিলের। প্রথম টেস্টে ভারত জিতল এক ইনিংস ও ১৪০ রানে।
প্রায় একপেশে একটা ম্যাচ। যেখানে ভারতের দাপটের সামনে নাজেহাল অবস্থা ক্রিকেট বিশ্বের এক সময়কার ‘বাঘ’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ১৬২ রান। যার জবাবে প্রথম ইনিংসে ভারতের রান ছিল ৫ উইকেটে ৪৪৮। টিম ইন্ডিয়া এগিয়ে ছিল ২৮৬ রানে। কেএল রাহুল, ধ্রুব জুরেলের পর সেঞ্চুরি পান রবীন্দ্র জাদেজাও। তৃতীয় দিনের শুরুতেই ডিক্লেয়ার ঘোষণা করেন ভারত অধিনায়ক শুভমান গিল। ভারতের জয় নিয়ে সংশয় ছিল না। প্রশ্ন ছিল, সেটা কতক্ষণের মধ্যে সম্ভব। প্রথম ইনিংসে যদি পেসাররা ভয়ানক হয়ে ওঠেন, তাহলে দ্বিতীয় ইনিংসে কামাল দেখালেন স্পিনাররা। পিচে ‘মার্ক’ হয়ে গিয়েছিল। লাল সুরকিতে নির্দিষ্ট জায়গায় বল পড়লেই তা অনেকটা ঘুরছিল। যা ক্যারিবিয়ানদের কাছে রীতিমতো অবোধ্য। ‘স্যর’ জাদেজা সেই সুযোগে ৪ উইকেট তুলে নেন।
তৃতীয় দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের রান ছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ৬৬। পিচের অবস্থা, জাদেজা-কুলদীপের ঘূর্ণি আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটারদের দুরবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল যে কোনও মুহূর্তে আরেকটি উইকেট পড়তে পারে। লাঞ্চের পর কিছুক্ষণ লড়াই চালান আলিক আথাঞ্জে (৩৮) ও জাস্টিন গ্রিভস (২৫)। প্রথমজনকে আউট করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। দ্বিতীয়জন সিরাজের বলে আউট হন। ইংল্যান্ডের পর দেশের মাটিতেও আগুনে ফর্মে তারকা পেসার। সব মিলিয়ে নিলেন তিন উইকেট। তার মধ্যে প্রথম উইকেটের কৃতিত্ব অবশ্য নীতীশ রেড্ডির বেশি। ব্যাট হাতে নামার সুযোগ পাননি। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে জীবন উজাড় করে দিলেন। স্কোয়ার লেগে ছিলেন নীতীশ। সিরাজের বল সজোরে পুল করেছিলেন তেগনারায়ণ চন্দ্রপল। কিন্তু সজাগ ছিলেন নীতীশ। হাওয়ায় উড়ে বল তালুবন্দি করেন। শেষ উইকেট কুলদীপ যাদবের (২৩/২)।
ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট সিরিজটা ভালো কাটেনি ভারতের। ২০২৪-র অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের কাছে চুনকাম হয়েছিলেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। তারপর হতাশার অস্ট্রেলিয়া সফর। তারপর ভারতীয় ক্রিকেটে ব্যাপক বদল এসেছে। অধিনায়ক হয়েছেন শুভমান গিল। ইংল্যান্ড থেকে সিরিজে সমতা রেখে ফিরেছে ‘নতুন ভারত’। এবার ঘরের মাঠে ৩৬৮ দিন পর কোনও টেস্ট জিতল ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.