সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নেই, তবু আছেন। টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন কোহলি। রোহিত-বিরাট উত্তর জমানা শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। শুভমান গিলের হাতে তার শুরুটা ভালো হয়নি। এটা ঠিক যে, গিল নতুন, অনভিজ্ঞ। শিখতে সময় লাগবে। সেটা নিয়ে কারও সংশয় নেই। কিন্তু ‘প্রিন্স’ গিলের নেতৃত্বে কোথাও গিয়ে কোহলির সেই ‘কিং’ সুলভ আগ্রাসনটা নেই। লিডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেটা খুব দরকার ছিল।
ফিরে যাওয়া যাক ২০২১ সালে। সেই ইংল্যান্ডের মাঠ। তবে লিডস নয়, লর্ডসের ঐতিহাসিক স্টেডিয়াম। কোহলি সেই মানুষটা, যিনি বলতে পারতেন, আগামী ষাট ওভার যেন প্রতিপক্ষের জন্য জায়গাটা নরকের সমান হয়ে ওঠে। গিল কি সেরকম কিছু বলেছিলেন? যদি বলেও থাকেন, মাঠে তার কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। যেভাবে প্লেয়াররা রান বিলোলেন, রান বিলোনোর পর অসহায়ের মতো পড়ে রইলেন, তার সঙ্গে কোহলিযুগের ভারতের কোনও মিল নেই।
ওই ২০২১-র সফরে, ওই টেস্টেই কোহলি বলেছিলেন, “যদি আমি কাউকে হাসতে দেখি, তাহলে দেখো কী করি!” চারবছর পর এসে কী দেখা গেল? ইংল্যান্ডের যখন আর জিততে ৩০-৪০ রান বাকি, তখন দর্শকদের সঙ্গে নাচছেন যশস্বী জয়সওয়াল। সেই যশস্বী, যিনি চার-চারটে ক্যাচ ছেড়েছেন। প্লেয়াররা হাসছেন, মজা করছেন। মানে হাসির মধ্যেও একটা ‘হিংস্রতা’ থাকতে পারে, সেটা গিলদের মধ্যে নেই। নেতৃত্বের নিজস্ব পদ্ধতি থাকতেই পারে, কিন্তু কোহলির আমলে অন্তত শরীরীভাষা এরকম ছিল না।
সেটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী কোহলির যিনি চরম ‘বিরোধী’, সেই সঞ্জয় মঞ্জরেকরও বলে ফেললেন, “কোহলি থাকলে বলত, আমাদের কাছে প্রচুর রান আছে। চলো, চা-পানের বিরতির আগে ওদের অলআউট করে দেব। শুভমান গিলের এতো রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজানো উচিত হয়নি।” নাসের হুসেন বললেন, “মাঠের মধ্যে কোহলি বা রোহিতদের মতো প্রভাব গিলের এখনও আসেনি।” তিনি অবশ্য ‘অউরা’ শব্দটা ব্যবহার করেছিলেন। চতুর্থ দিনের শেষে শাস্ত্রী বলেছিলেন, ভিতরের কোহলিটাকে জাগিয়ে তোলো। সেটা করতে পারলে হয়তো ‘মিরাকল’ ঘটতে পারত! কিন্তু কী আর করা যাবে, সেই রামও নেই। অযোধ্যাও নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.