Advertisement
Advertisement
IPL 2025

ওল্ডই গোল্ড! সুদর্শনদের বোঝালেন রোহিত-বুমরাহরা, গুজরাটকে ছিটকে দিয়ে কোয়ালিফায়ারে মুম্বই

নক আউটের লড়াই মানেই অপ্রতিরোধ্য মুম্বই।

IPL 2025: MI beats GT to enter second qualifier

ছবি: বিসিসিআই

Published by: Arpan Das
  • Posted:May 30, 2025 11:40 pm
  • Updated:May 30, 2025 11:49 pm   

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ২২৮/৫ (রোহিত ৮১, বেয়ারস্টো ৪৭, সাই কিশোর ৪২/২)
গুজরাট টাইটান্স: ২০৮/৬ (সুদর্শন ৮০, সুন্দর ৪৮, বোল্ট ৫৬/২)
২০ রানে জয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন নিছক এলিমিনেটর নয়। এ দুই প্রজন্মের লড়াই। হতে পারে সেটা টেস্ট ক্রিকেটের। কিন্তু আইপিএল সাক্ষী থাকল নতুন-পুরনো দ্বন্দ্বের। একদিকে কিছুদিন আগে টেস্ট থেকে অবসর নেওয়া রোহিত শর্মা, অন্যদিকে তাঁর ‘বিকল্প’ হিসেবে নাম ভাসতে থাকা সাই সুদর্শন। আইপিএলের এলিমিনেটর দুজনেরই ‘ভয়ংকর সুন্দর’ ইনিংসের সাক্ষী থাকল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিতল রোহিতের ‘গোল্ড জেনারেশনই’। ২০ রানে গিলের গুজরাটকে ছিটকে দিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে হার্দিকের মুম্বই। সেখানে তাদের সামনে পাঞ্জাব কিংস।

মুলানপুরের স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। এবারের আইপিএলে চেনা মেজাজে ধরা দেননি রোহিত। মাঝেমধ্যে ঝলক দেখা গেলেও আসল রূপটা যেন ধরা ছিল এলিমিনেটরের জন্য। যদিও দু’বার জীবনদান পেলেন। প্রথমবার ৩ রানে, দ্বিতীয়বার ১২ রানে। রোহিতের ক্যাচ মিসের ফল যে কী হতে পারে, তা ভালোমতোই বুঝলেন গিলরা। জনি বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তুললেন তিনি। ইংরেজ ব্যাটার অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি পেলেন না। ২২ বলে ৪৭ রানে ফেরেন তিনি। কিন্তু রোহিতকে ঠেকায় কে? ৫০ বলে ৮১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৪টি ছক্কা ও ৯টি চার দিয়ে। শেষ পর্যন্ত প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। সূর্যকুমার যাদব এই ম্যাচেও ধারাবাহিক। ২০ বলে করেন ৩৩ রান। অন্যদিকে তিলক বর্মা ১১ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে মুম্বইয়ের রান দাঁড়ায় ২২৮। শেষবেলায় ৯ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া।

চলতি আইপিএলের সেরা ওপেনিং জুটি বলা হচ্ছে গুজরাটের সাই সুদর্শন ও শুভমান গিলকে। প্রথমজন টেস্টে রোহিত শর্মার বিকল্প হতে পারেন বলে জোর চর্চা। দ্বিতীয়জন রোহিতেরই ছেড়ে যাওয়া জায়গায় টেস্ট অধিনায়ক হয়েছেন। রান তাড়া করতে নেমে গিল রান পেলেন না। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান করে ফেরেন। কিন্তু রোহিতের ইনিংসের পর সাই সুদর্শন যে ঝড় তুললেন, তা যেন আইপিএলের মঞ্চে ভারতীয় দলের ব্যাটন বদলের ইঙ্গিত। বলা যায়, সুদর্শন চক্রে কাটা পড়তে পারত মুম্বইয়ের কোয়ালিফায়ারের স্বপ্ন। কুশল মেন্ডিস ঝোড়ো শুরু করেও অদ্ভুতভাবে হিট উইকেট হয়ে ফিরলেন। কিন্তু সুদর্শনকে সঙ্গ দিলেন ‘সুন্দর’ ওয়াশিংটন (৪৮)। ট্রেন্ট বোল্টের মতো বোলারকে নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেললেন। রান বিলোলেন হার্দিকও। এই অবস্থায় মুম্বই অধিনায়ক যা করতে পারতেন, তাই করলেন। বোলিংয়ে নিয়ে এলেন বুমরাহকে। তাঁর ইয়র্কারে চিৎপাত হয়ে গেলেন সুন্দর। ছিটকে গেল উইকেটও।

তারপর অবশ্য বেশিক্ষণ সুদর্শনের ব্যাটও চলেনি। রোহিতের থেকে ঠিক একরান কম, অর্থাৎ ৮০ রানে আউট হন তিনি। বলও রোহিতের থেকে একটি কম খেলেন। একটি ছয় মারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১০টি চার। একদিকে রাদারফোর্ডের ব্যাট চলছিল ঠিকই। কিন্তু সুদর্শন ফিরতেই রানের গতিতে ভাটা আসে। তার মধ্যে বুমরাহর নিজের শেষ ওভারে আসে মাত্র ৯ রান। ভালো বল করেন অশ্বনী কুমার, নমন ধীররা। শেষ দু’ওভারে দরকার ছিল ৩৮ রান। চাপের মুখে বোল্টকে উইকেট দিয়ে এলেন রাদারফোর্ড। গোটা ম্যাচজুড়ে যথেষ্ট রান বিলিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট। কিন্তু ডেথ ওভারে এখনও অনবদ্য। শেষ ওভারে চোট নিয়েও মুম্বইকে ম্যাচজয় নিশ্চিত করেন গ্লিসন। বাকি তিনটি বল করেন অশ্বনী। শেষ পর্যন্ত ২০ রানে ম্যাচ জেতে মুম্বই। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ