ছবি: বিসিসিআই
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় ম্যাচ মানেই যেন স্বমেজাজে পাওয়া যাবে রোহিতকে। সেটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনাল হোক বা আইপিএলের এলিমিনেটর পর্ব। মরণ-বাঁচন ম্যাচে ফের কথা বলে উঠল রোহিতের ব্যাট। সেঞ্চুরি পেলেন না ঠিকই, তবে এই ম্যাচে নয়া রেকর্ড গড়লেন হিটম্যান। আইপিএলে ৭০০০ রান ও ৩০০ ছক্কা হয়ে গেল মুম্বই ব্যাটারের। গুজরাটের বিরুদ্ধে তাঁর ৮১ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ২২৮ রান তুলল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মুলানপুরের স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। এবারের আইপিএলে চেনা মেজাজে ধরা দেননি রোহিত। মাঝেমধ্যে ঝলক দেখা গেলেও আসল রূপটা যেন ধরা ছিল এলিমিনেটরের জন্য। যদিও দু’বার জীবনদান পেলেন। প্রথমবার ৩ রানে, দ্বিতীয়বার ১২ রানে। রোহিতের ক্যাচ মিসের ফল যে কী হতে পারে, তা ভালোমতোই বুঝলেন গিলরা। জনি বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তুললেন তিনি। ইংরেজ ব্যাটার অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি পেলেন না। ২২ বলে ৪৭ রানে ফেরেন তিনি।
কিন্তু রোহিতকে ঠেকায় কে? ৫০ বলে ৮১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৪টি ছক্কা ও ৯টি চার দিয়ে। শেষ পর্যন্ত প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ততক্ষণে অবশ্য আইপিএলে ৭০০০ রান পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। হাঁকিয়েছেন ৩০০টি ছক্কাও। আইপিএলে দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৭০০০ রানের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন তিনি।
সূর্যকুমার যাদব এই ম্যাচেও ধারাবাহিক। ২০ বলে করেন ৩৩ রান। অন্যদিকে তিলক বর্মা ১১ বলে ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে মুম্বইয়ের রান দাঁড়ায় ২২৮। শেষবেলায় ৯ বলে ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। গুজরাটের বোলারদের মধ্যে ৫৩ রানে ২ উইকেট প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর। সাই কিশোরও ৪২ রানে ২ উইকেট তোলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.