অর্ক দে, বর্ধমান: আইপিএল শুরুর দিন ইডেনে ব্যাট করছিলেন বিরাট কোহলি। হঠাৎই মাঠে ঢুকে পড়েন এক তরুণ। সটান গিয়ে লুটিয়ে পড়েন কোহলির পায়ে। আর আরসিবি’র আইপিএল জয়ের দিন কোথায় ছিলেন সেই ঋতুপর্ণ পাখিরা? আহমেদাবাদেই ছিলেন। হাতে ছিল ম্যাচের টিকিটও। তারপরও ম্যাচই দেখা হল না। কোহলির ট্রফিজয়ের উৎসবেও পুরোপুরি শামিল হতে পারেননি। কিন্তু কেন?
সব আয়োজন নিয়েই বর্ধমান থেকে গুজরাটের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন ঋতুপর্ণ। সঙ্গে ছিল কোহলির বিরাট একটা পোস্টার। কালো শার্টে বিরাটকে প্রণাম করার সেই ছবি। ইচ্ছে ছিল, মাঠে বসে কোহলির সঙ্গে হাসার, কোহলির সঙ্গে কাঁদার। কিন্তু যখন নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ঢুকলেন, তখন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান প্রায় শেষের পথে। ম্যাচ শেষ হয়েছে অনেকক্ষণ আগে। সদ্য কোহলিদের হাতে ট্রফি উঠেছে। এই দৃশ্য দেখতেই দেশের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ছুটে যাওয়া। নাই বা হল ম্যাচ দেখা। ট্রফিতে কোহলিকে চুমু খেতে দেখেই কেঁদে ফেলেন ঋতুপর্ণ।
আসলে তাঁর ট্রেন প্রায় ২০ ঘণ্টা লেট ছিল। নেটওয়ার্কের সমস্যার জন্য ট্রেনে বসেও ম্যাচ দেখতে পারেননি ঋতুপর্ণ। আহমেদাবাদ থেকে ফোনে ঋতুপর্ণ ক্ষোভ উগরে দিলেন রেলব্যবস্থার উপর। ফলে কিছুটা মিশ্র অনুভূতি নিয়েই ফিরছেন তিনি। তবে ঋতুপর্ণ আগেই জানতেন যে, আরসিবি চ্যাম্পিয়ন হবে। বন্ধুদের আগে থেকেই বার্তা পাঠিয়ে রেখেছিলেন। আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ ডিপিতে ট্রফি হাতে কোহলির ছবি।
উল্লেখ্য, ইডেনে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচের দিন ঋতুপর্ণ দৌড়ে মাঠে ঢুকে পড়ে। লক্ষ্য একবার কোহলির পা ছুঁয়ে প্রণাম। সেই লক্ষ্যে সফলও হয়। ভক্তকে এভাবে দেখে বিরাটও বুকে জড়িয়ে ধরেন। তবে নিরাপত্তা ভেঙে এভাবে মাঠে ঢুকে পড়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে ঋতুপর্ণ বলেন, “যখন আমি কোহলির পা ছুঁই, তখন উনি আমার নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তারপর বলেন, ‘তাড়াতাড়ি এখান থেকে পালা’। এমনকী নিরাপত্তারক্ষীদের বলেছিলেন, আমাকে আঘাত না করতে।” আর এবার এত কাছে থেকেও পুরোপুরি স্বপ্নপূরণ হল না ঋতুপর্ণর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.