ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টের তুমুল সমালোচনায় প্রাক্তন পেসার উমর গুল। পাক দলের নীতিকে কাঠগড়ায় তুলে জানিয়েছেন, দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই পুরোপুরি ফিট না সত্ত্বেও খেলে। অন্যদিকে, চোট-আঘাত সমস্যা দূর করার জন্য ভারতীয় দল রোটেশন পদ্ধতি নিয়েছে। রবিবাসরীয় ভারত-পাক মহারণের আগে টিম ইন্ডিয়ার নীতিকে দরাজ সার্টিফিকেটও দিয়েছেন গুল।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড সিরিজে জশপ্রীত বুমরাহ ‘ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টে’র কারণে তিনটি টেস্ট খেলেছিলেন। এ ব্যাপারে বহু চর্চা হলেও উমর গুলের মতে, এটা ভারতীয় দলের ‘সচেতন’ সিদ্ধান্ত। এমন সিদ্ধান্ত কখনওই নিতে পারেনি পাকিস্তান বোর্ড। পাক মিডিয়ার এক টক শো-তে তিনি বলেন, “আমাদের সংস্কৃতিতে এই নীতি নেই। আমাদের সময় ক্রিকেটাররা ৭০-৮০ শতাংশ ফিট থাকলেও বলত, ‘খেলতে চাই’। আসলে তারা ভয় থেকেই এটা করত। তারা মনে করত, যদি নতুন কেউ তাদের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ভালো খেলে দেয়! আমাদের সংস্কৃতিতে রোটেশন নীতি কার্যত কোনও জায়গা নেই।”
তিনি আরও বলেছেন, “খেলোয়াড়দের মতো দায়িত্ব থাকে ম্যানেজমেন্টেরও। রিহ্যাবের দরকার হকে মেডিক্যাল স্টাফ, ট্রেনারদেরও দায়িত্ব নিতে হয়। কিন্তু পাকিস্তানে একাধিক খেলোয়াড়ের রিহ্যাব ঠিকমতো হয়নি। ফলে চোটের পর কোনও বোলারের গতি কমে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে ভারতে একটা সিস্টেম রয়েছে। বুমরাহর মতো বোলারকে রোটেশন পদ্ধতিতে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়, যাতে বিশ্বকাপ বা আইসিসি ইভেন্টে সেরা খেলাটা বেরিয়ে আসে। এভাবেই ভারতীয় দলে সেরা বোলারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই কারণেই চোট সারিয়ে দলে ফিরতে কোনও অসুবিধা হয় না।”
রবিবাসরীয় ভারত-পাক মহারণের আগে ভারতীয় ক্রিকেট সংস্কৃতির প্রশংসা করলেন গুল। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের হয়ে ৪৭টি টেস্ট, ১৩০টি ওডিআই এবং ৬০টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। একাধিকবার চোট-আঘাত সমস্যা ভুগিয়েছিল তাঁকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.