সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা ইংরেজ ব্যাটিং বিভাগের বিরুদ্ধে তিনি একাই লড়াই করে গিয়েছেন। সেভাবে সঙ্গই পাননি। একদিকে তিনি ইংরেজ ব্যাটারদের প্রায় প্রতি বলে সমস্যায় ফেলছেন অন্য প্রান্তে মহম্মদ সিরাজ বা প্রসিদ্ধ কৃষ্ণরা বালখিল্যের মতো রান বিলিয়ে যাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই জশপ্রীত বুমরাহ হতাশ এবং বিরক্ত। সেই বিরক্তিরই প্রকাশ সম্ভবত দেখা গেল ড্রেসিংরুমে গিয়ে।
শনিবার হেডিংলি টেস্টের দ্বিতীয় দিন ইংল্যান্ড ইনিংসের ৪০তম ওভারে বুমরাহ ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়েছিলেন। সেই ওভারেই প্রথম বল করতে আসেন শার্দূল ঠাকুর। কিন্তু শার্দূলের নির্বিষ সেই ওভারে মাঠের দিকে যতটা না নজর ছিল, তার চেয়ে বেশি নজর ছিল ভারতীয় সাজঘরে। সেখানে কোচ গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কি করতে দেখা গেল বুমরাহকে। সম্ভবত নিজের সতীর্থদের বোলিং এবং ফিল্ডিং নিয়ে হতশা প্রকাশ করছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্রহ্মাস্ত্র।
ক্রিকেট ইতিহাস বলে, একটা দেশ বোলিং দিয়ে বাকি বিশ্ব তখনই শাসন করেছে, যখন সে হাতে ‘খতরনাক’ বেলিং জুটি পেয়েছে। পুরাতন যুগের চার ভয়াল ক্যারিবিয়ান ফাস্ট বোলার ছেড়েই দিলাম। পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই ওয়ালশ-অ্যামব্রোজ। পাকিস্তানের টু ডব্লিউ’, ওরফে ওয়াসিম ওয়াকার। অস্ট্রেলিয়ার লিলি থমসন। কিংবা অধুনা স্টার্ক-কামিন্স-হ্যাজেলউড। দক্ষিণ আফ্রিকার ডোনাল্ড-পোলক। স্টেইন-মর্কেল। নিউজিল্যান্ডের সাউদি-বোল্ট। ইংল্যান্ডের অ্যান্ডারসন-ব্রড। ভারতের জাহির-নেহরা। কুম্বলে হরভজন। বুমরাহ-শামি। এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রে একা কেউ কিছু করতে পারেননি। দরকার পড়েছে আর একজনকে। সৃষ্টি করতে হয়েছে জুটি।
লিডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন বুমরাহ সেই কাঙ্ক্ষিত এবং প্রত্যাশিত বোলিং করলেন। ‘পার্টনার’-ই পেলেন না। যা করছেন, তিনি। একা তিনি। দ্বিতীয় দিনে তিনটে উইকেট পেলেন বুমরাহ (ক্রলির ডেলিভারিটা আনপ্লেয়েবল ছিল)। ফিল্ডিং না ভোগালে, পেতে পারতেন আরও গোটা দুই। তাঁর করা দিনের শেষ বলটাও কী মারাত্মক লাফিয়ে উঠল। হ্যারি ব্রুকের চিবুক ছুঁয়ে চলে গেল (ব্রুককে আউট করেও দিয়েছিলেন বুমরা, তার কিছুক্ষণ পূর্বে বলটা ‘নো’ হয়ে যায়)। সব মিলিয়ে ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি তাঁর। সেই হতাশাও বোধহয় কাজ করল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.