ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওস্তাদের মার শেষ বেলায়! কে জানত প্রত্যাবর্তনের লড়াইটা এত নাটকীয় হবে? প্রথম ১০ ওভার উইকেটহীন ছিলেন। এরপরেই জ্বলে উঠলেন মহম্মদ শামি। রনজি ট্রফির ম্যাচে ২১৩ রানে গুটিয়ে গেল উত্তরাখণ্ডের প্রথম ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানে অভিমন্যু ঈশ্বরণের উইকেট খুইয়েছে বাংলা।
উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ইডেনের সবুজ পিচে চার ফ্রন্ট লাইন পেসারে নামে বাংলা। মহম্মদ শামি, আকাশ দীপের পাশাপাশি দলে ছিলেন ঈশান পোড়েল, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালরা। সাবধানী শুরু করেন উত্তরাখণ্ডের দুই ওপেনার অবনীশ সুধা এবং প্রশান্ত চোপড়া। উত্তরাখণ্ডকে প্রথম ধাক্কা দেন ঈশান। ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন অবনীশ।
এরপর সুরজের দাপটে আরও ফাটল ধরে উত্তরাখণ্ডের টপ অর্ডারে। প্রথম ২০ ওভারে ৪৫ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে কুণাল চান্দেলার দল। বিপক্ষ দলের অধিনায়ক কুণাল। ৭ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তবে এরপর প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ভূপেন লালওয়ানি। শাশ্বত ডাঙ্গওয়ালের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটিও গড়েন।
লাঞ্চের পর চতুর্থ উইকেট নেন সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। আবারও সূরজ। ক্রমশ ভয়ানক হয়ে ওঠা ভূপেন-জগদীশা জুটিকে ভাঙেন সুরজই। জগদীশা সুচিথকে ২৫ রানে আউট করেন তিনি। তাঁদের জুটিতে ওঠে ৫৪ রান। সর্বোচ্চ স্কোরার ভূপেন লালওয়ানিকে (৭১) প্যাভিলিয়নে ফেরান ইশান পোড়েল।
এরপর শুরু হয় উত্তরাখণ্ডের ব্যাটারদের আসা যাওয়ার পালা। শেষের তিনটি উইকেট পান মহম্মদ শামি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর থেকে জাতীয় দলে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। সেই কারণে রনজির মঞ্চে জবাব দেওয়ার লক্ষ্যেই নেমেছিলেন শামি। ৩৭ রানে ৩ উইকেট পেলেন তিনি। সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল নেন ৫৪ রানে ৪ উইকেট। ঈশান পোড়েলের নামের পাশে ৩ উইকেটে ৪০। তবে এদিন উইকেটহীন থাকলেন আকাশ দীপ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হলেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। প্রথম দিনের শেষে বাংলার রান ১ উইকেটে ৮। অপরাজিত রয়েছেন সুদীপ ঘরামি (৭) এবং সুদীপ চ্যাটার্জি (১)। এখনও ২০৫ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.