সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘লেজের আঘাতে’ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল ভারতের বোলিং। বহু চেষ্টা করেও জাস্টিন গ্রিভসকে টলানো যায়নি। মাটি কামড়ে পড়েছিলেন জেডন সিলস। তাতে বিরক্ত হয়ে গ্রিভসকে ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে বসেন মহম্মদ সিরাজ। পুরোটাই অবশ্য মজার ছলে। তবে এই ঘটনা ছাড়াও আরও দুটি কারণে চর্চায় সিরাজ।
ফলো-অন করেও লড়াই চালায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জন ক্যাম্পবেল এবং শাই হোপ সেঞ্চুরি করেন। জাস্টিন গ্রিভস হাফসেঞ্চুরি আদায় করে নেন। জেডন সিলস করেন ৩২ রান। বিরক্ত হয়ে গ্রিভসের মুখোমুখি হন সিরাজ। তাঁকে ‘সাবধান’ করে দেন আর যেন রান না করেন। তারপর অবশ্য দুজনেই হেসে ফেলেন। অনেকের মনে পড়ছে যশস্বী জয়সওয়াল ও ব্রায়ান লারার কথোপকথন। লারাও যশস্বীকে বলেছিলেন, “আমাদের বোলারদের এতো মেরো না।”
প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট পেলেন সিরাজ। এই বছর এখনও পর্যন্ত টেস্টে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৩৭। টপকে গেলেন জিম্বাবোয়ের ব্লেসিং মুজ়ারাবানিকে, তিনি এখনও পর্যন্ত ৩৬টি উইকেট পেয়েছেন। মিচেল স্টার্ক ২৯টি উইকেট পেয়েছেন। অন্যদিকে বুমরাহ ২২ জন ব্যাটারকে শিকার করেছেন। অজি পেসার অবশ্য বছরের শেষে অ্যাশেজ পাবেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে সিরাজও ব্যবধান বাড়াতে পারবেন।
আরও একটি কারণে চর্চায় ভারতের তারকা পেসার। চতুর্থ দিনে ক্যারিবিয়ানদের উইকেট ফেলতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। দিল্লির রোদে কাহিল অবস্থা হয়ে যায় সিরাজের। মাঝে ডাগআউটে এসে বিশ্রাম নেন। সেই সময় ফিজিওথেরাপিস্ট তাঁকে মালিশ করে দেন। মাথায় আইস প্যাক রাখা। যা দেখে দীনেশ কার্তিক ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, “দীর্ঘ স্পেলের পর একজন পেসারকে রাজার মতো ব্যবহার পেতে দেখে ভালো লাগছে।”
Siraj my boy no
— Ishan’s (@IshanWK32)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.