সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুলনায় ‘দুর্বল’ বাংলাদেশের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ পাকিস্তানের। বলা চলে, গোহারা হারতে হল পাক দলকে। ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান টিকে থাকতে পারেনি ২০ ওভারও। ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে যায় ফখর জামান, সলমন আলি আঘা সমৃদ্ধ পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। জবাবে মাত্র ১৫.৩ ওভারে লক্ষ্য পূরণ করে বাংলাদেশ। বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদের বাইরে রেখে দল গড়েছে পাকিস্তান। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাক দলের সুদিন ফিরছে না কিছুতেই।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এই নিয়ে চতুর্থবার পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ। টস জিতে লিটন দাস প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তানকে। শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি তাদের। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে নাজেহাল অবস্থা হয় তাদের। একে একে সাজঘরের পথে পা বাড়ান স্যাম আইয়ুব, মহম্মদ হারিস, সলমন আঘা, হাসান নওয়াজের মতো তারকারা।
এরপর পাকিস্তানের রানকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বড় পার্টনারশিপের প্রয়োজন ছিল। সেটা হয়নি। তার উপর রান আউট হয়ে যান মহম্মদ নওয়াজ। ফখর জামান (৪৪) ছাড়া আর কোনও পাক ব্যাটার বলার মতো কিছু করতে পারেননি। কিন্তু তিনিও ১২তম ওভারে রান আউট হয়ে যান। ফখরের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন আব্বাস আফ্রিদি (২২)। বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান তানজিদ হাসান (১)। এপরপর ফেরেন লিটন দাস (১)-ও। ৭ রানে ২ উইকেট খুইয়ে যখন সবাই ভেবে বসেছেন সিঁদুরে মেঘ দেখতে চলেছে বাংলাদেশ, তখনই জ্বলে ওঠে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট। প্রথমে তৌহিদ হৃদয় (৩৬)-কে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোরকে ৮০ রানে পৌঁছে দেন।
এরপর জাকের আলি (১৬*)-র সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন পারভেজ। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৫৬ রানে। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি চার এবং ৫টি বিশাল ছক্কা দিয়ে। ম্যাচের সেরা পুরস্কার দেওয়া হয় পারভেজকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরবর্তী দু’টি ম্যাচ ২২ এবং ২৪ জুলাই। পদ্মাপাড়ের দেশটির লক্ষ্য থাকবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.