সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম দিনে মাত্র ২১২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। ওয়েবস্টার (৭২) এবং স্মিথ (৬৬) ছাড়া আর কোনও অজি ব্যাটারই সেই অর্থে রান পাননি। এক কথায় রাবাডার সামনে কার্যত আত্মসমর্পণ করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে ৪৩ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
ম্যাচে ফিরতে গেলে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। সেই লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলেন বাভুমা এবং বেডিংহ্যাম। তাঁদের জুটিতে উঠল ৬৪ রান। যদিও এক প্রকার সেট হয়েই সাজঘরে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৩৬ রানের মাথায় তাঁকে ফেরান প্যাট কামিন্স।
ডেভিড বেডিংহ্যামের (৪৫) ইনিংসও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তাঁকেও ফেরান কামিন্স। এরপর আরও দু’টো উইকেট পড়ে কম সময়ের মধ্যে। কামিন্স সেই সময় রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছেন। তিনি নেন ছয় উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের মালিকও হন অজি অধিনায়ক। মাত্র ১৩৮ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ লিড পায়।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ায় সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৫ উইকেটে ১২১। সেখান থেকে মাত্র ১৭ রান যোগ করে অলআউট হয়ে যায় তারা। বাভুমা এবং বেডিংহ্যাম ছাড়া আর কোনও প্রোটিয়া ব্যাটার নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বাভুমা আউট হওয়ার পর বেডিংহ্যাম জুটি বাঁধেন উইকেটকিপার কাইল ভেরেইনির সঙ্গে। বেশ জমজমাট দেখাচ্ছিল তাঁকে। তবে কামিন্সের বলে বোকা বনে গিয়ে ‘আনলাকি’ ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন ভেরেইনি। মিচেল স্টার্ক ২টি এবং জস হ্যাজেলউড পান ১ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস এভাবে গুটিয়ে যাওয়ার পর আপাতত বলেই দেওয়া যায়, অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.