Advertisement
Advertisement
RCB Management

অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও সোশাল মিডিয়ায় ‘বিজয় শোভাযাত্রা’র ঘোষণা কেন? তদন্তের মুখে RCB

মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করেছে আরসিবি।

RCB Management to be probed over Social Media post hours before stampede
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 5, 2025 4:41 pm
  • Updated:June 5, 2025 4:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেলিব্রেশনে পদপিষ্ট হয়ে সমর্থকদের মৃত্যুর ঘটনায় এবার তদন্তের আওতায় চলে এল আরসিবিও। কর্নাটক সরকার পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় যে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সেই তদন্তের আওতায় আসছে আরসিবিও। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, পুলিশের অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও ফ্র্যাঞ্চাইজির সোশাল মিডিয়া পোস্টে কেন বিজয় মিছিলের কথা ঘোষণা করা হল?

Advertisement

বেঙ্গালুরুর পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার আগে ও পরে একাধিক চিঠি চালাচালি হয়েছে কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা, আরসিবি এবং প্রশাসনের মধ্যে। সেই চিঠিগুলির সারমর্ম যা দাঁড়ায়, সেটা হল পুরো সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করা হয় একেবারে শেষ মুহূর্তে। পুলিশ প্রথমে গোটা অনুষ্ঠানটিই রবিবার সরিয়ে নিতে চেয়েছিল। পরে বাধ্য হয়ে বুধবার শর্তসাপেক্ষ সেলিব্রেশনের অনুমতি দেয়। আরসিবি শুরুতে সেলিব্রেশনটি করতে চেয়েছিল কর্নাটকের বিধান সৌধের সামনে। কিন্তু আইনসভার মতো স্পর্শকাতর জায়গায় সেটার অনুমতি পুলিশ দিতে চায়নি। পরে আরসিবি ঠিক করে বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেখান থেকে চিন্নাস্বামী পর্যন্ত হুডখোলা গাড়িতে রোড শো করে যাবেন বিরাটরা। তারপর সেখানে হবে মূল অনুষ্ঠান। যার আয়োজক কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা।

পুলিশের এক আধিকারিকের দাবি, ওই অনুষ্ঠানেও তাঁরা অনুমতি দিতে চাননি। পুলিশ কর্তারা রাজ্য প্রশাসন এবং আরসিবিকে জানায়, সদ্য আইপিএল জয়ের পরদিনই ওই অনুষ্ঠান করলে আবেগের বশবর্তী হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমাতে পারে, কাজের দিনে যা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। তাই ওই সেলিব্রেশন রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। ততদিনে আবেগ খানিকটা থিতিয়ে পড়বে। তাছাড়া ছুটির দিনে ভিড় সামাল দিতেও কিছুটা সুবিধা হবে। কিন্তু আরসিবি জানায়, সেটা করা সম্ভব নয়। কারণ এমনিই আইপিএল নির্ধারিত সূচির দু’সপ্তাহ পর আইপিএল শেষ হয়েছে। এরপর রবিবার পর্যন্ত ক্রিকেটারদের আটকে রাখা সম্ভব নয়। বুধবার সন্ধের পরই বিদেশি ক্রিকেটারদের ছেড়ে দিতে হবে। পুলিশকর্তার দাবি, ফ্র্যাঞ্চাইজির অনড় মনোভাবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও চিন্নাস্বামীর অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয় পুলিশ। কিন্তু রোড শো বাতিল করা হয়।

সমস্যা হল, রোড শো-টি যে বাতিল হল সেটি আরসিবির তরফে ঘোষণা করা হয়নি। উলটে চিন্নাস্বামীর মূল অনুষ্ঠানের ঘণ্টা দুয়েক আগেও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ওই বিজয় শোভাযাত্রা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। বুধবার বিকাল ৩.১৫ মিনিটে আরসিবির সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে পোস্ট করা হয়, “বিকাল ৫টায় বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী পর্যন্ত বিজয় শোভাযাত্রা হবে।” ওই পোস্টেই বলা হয়, “সন্ধে ছ’টা থেকে চিন্নাস্বামীতে বিজয় অনুষ্ঠান। টিকিট সংখ্যা সীমিত। বিনামূল্যে টিকিট গ্রহণ করুন।” তদন্তকারীরা মনে করছেন, রোড শোর অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও এভাবে রোড শোর কথা ঘোষণা করাটা অপরাধ। ওই পোস্টের জন্যও অনেক মানুষ জমায়েত করেন বেঙ্গালুরুর রাস্তা এবং স্টেডিয়ামের বাইরে। কেন ওই পোস্ট করা হল? সেটাকেও তদন্তের আওতায় আনবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট। অর্থাৎ, পুরো ঘটনায় ফ্র্যাঞ্চাইজির ভূমিকাও এবার আতস কাচের তলায়। অবশ্য আরসিবির পাশাপাশি কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থার কর্তারাও তদন্তের আওতায় আসছেন।

এদিকে চাপের মুখে পড় ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যও ঘোষণা করা হয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement