ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে এশিয়া কাপের দলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। অবশেষে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়েছে তাঁর। তবে, তিনি যে দলে সুযোগ পাবেন, তা আশা করেননি রিঙ্কু সিং। দল ঘোষণার পর ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগের ফাঁকে রেভস্পোর্টজকে সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে ভারতীয় দলে তিনি আদৌ জায়গা পাবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন না।
২৭ বছর বয়সি ক্রিকেটার বলেন, “এশিয়া কাপের স্কোয়াডে আমার নাম দেখার পর অনুপ্রাণিত হয়েছি। গত বছর আমি ভালো খেলতে পারিনি। মনে হয়েছিল, বাদ পড়তে পারি। কিন্তু নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন। এটাই আমার উদ্বুদ্ধ করেছে। ইউপি টি-টোয়েন্টি লিগে আমি যে ইনিংস খেলেছি, তা আমার আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করছি লক্ষ্যে পৌঁছাবই।”
উত্তরপ্রদেশের টি-টোয়েন্টি লিগে ৪৮ বলে ১০৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে রিঙ্কু বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকা নিতে তৈরি। সঙ্গে জানিয়েছেন, প্রয়োজনে এক-দু’ওভার বল করতে পারার বিষয়টি হয়তো তাঁকে দলে সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, “আজকাল বোলিং করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচকরা চান, দলে একাধিক ভূমিকা থাকুক। যদি ব্যাট দিয়ে খেলায় প্রভাব ফেলতে না পারো, তাহলে বল দিয়ে করো।”
তাঁর সংযোজন, “আমি ২০২৩ সালে ৫ নম্বরে ব্যাট করেছিলাম। ৭ বা ৮ নম্বরে ব্যাট করতে অতটা ভালো লাগে না। কিন্তু দলের প্রয়োজনে আপনাকে সেই ভূমিকায় পারফর্ম করতেই হবে। আমি ভারতীয় দলের হয়ে ৩৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। ৩টি অর্ধশতক করেছি। কেবল ফিনিশারের ভূমিকায় নয়, আমি সমস্ত পজিশনে ব্যাট করতে পারি।”
উত্তরপ্রদেশের টি-টোয়েন্টি লিগে মিরাট মাভেরিক্সের হয়ে খেলছেন তিনি। গোরক্ষপুর লায়ন্সের দেওয়া ১৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৩৮ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল মিরাট। সেখান থেকে ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন রিঙ্কু। বিধ্বংসী এই ইনিংস সাজানো ছিল ৭টা চার ৮টা ছক্কা দিয়ে। এমন ইনিংসের পর ৭ বল বাকি থাকতেই জিতে নেয় মিরাট। যেভাবে তিনি মিরাটকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে এনে দক্ষ ফিনিশারের ভূমিকায় জিতিয়েছেন, তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। আর এবার এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন রিঙ্কু সিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.