সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১১-এ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত। কে ভুলতে পারে, গৌতম গম্ভীরের লড়াকু ইনিংস, কিংবা মহেন্দ্র সিং ধোনির ছক্কা মেরে ভারতকে জেতানো। অথচ গোটা টুর্নামেন্টে যুবরাজ সিংয়ের পরে নেমেছিলেন ধোনি। শুধু ফাইনালটাই ব্যতিক্রম। আর সেটা কি শচীন তেণ্ডুলকরের পরামর্শে?
বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৭৫ রান দরকার ছিল। ধোনি যখন ব্যাট করতে নামেন, তখন ভারতের রান ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৪। গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ১০৯ রানের পার্টনারশিপও গড়েন। বিশ্বকাপের অন্যান্য ম্যাচে ৪ নম্বরে নেমেছিলেন যুবরাজ। শুধু ফাইনালেই সেখানে নেমেছিলেন ধোনি।
কেন? এক ভক্তের প্রশ্নের শচীন বলেন, ‘দুটো কারণ ছিল। প্রথমত ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনে খেললে ওদের দুই স্পিনারকে সমস্যায় ফেলা যাবে। তাছাড়া ২০০৮ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মুরলীধরন চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন এবং এমএস (ধোনি) তিনবছর ধরে নেটে ওকে খেলেছে।’ আর সেটাই পার্থক্য গড়ে দেয়। ৭৯ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন ধোনি। আর ৬ উইকেটে জেতে ভারত। শচীনের হাতে ওঠে প্রথম বিশ্বকাপ।
ওই প্রশ্নোত্তর পর্বে আরও অনেক বিষয়েই উত্তর দিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। যেমন ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী রোহিত-বিরাট কারা? শচীন লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট নিরাপদ হাতে আছে। ইংল্যান্ডে অনেকেই ভালো খেলেছে। অনেকেই আছে যারা ঐতিহ্য বহন করতে পারবে।’ আবার জো রুটের ১৩ হাজার রান নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৩০০০ রান করা দারুণ কৃতিত্ব। ও এখনও অসাধারণ খেলছে। আমি ওকে ২০১২-য় অভিষেক টেস্টে প্রথম দেখি। আমার সতীর্থদের বলি, ও ভবিষ্যতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হবে। আমি তখনই জানতাম ও বড় প্লেয়ার হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.