সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ডামাডোলের পর পতৌদি ট্রফির নামবদল হয়ে রাখা হয়েছে জেমস অ্যান্ডারসন এবং শচীন তেণ্ডুলকরের নামে। তবে এই সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হয়ে গেলেও পিছু ছাড়েনি নাম বিতর্ক। যেভাবে সিরিজটির নাম উচ্চারিত হচ্ছে, তা একেবারেই নাপসন্দ সুনীল গাভাসকরের। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে এনিয়ে একহাত নিয়েছেন তিনি।
২০০৭ সাল থেকে বিলেতের মাটিতে ভারত ও ইংল্যান্ডের এই সিরিজ পরিচিত ছিল পতৌদি ট্রফি নামে। তবে এবার কিংবদন্তি মনসুর আলি খান পতৌদির নামে ইতি ঘটিয়ে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে মাস্টার ব্লাস্টার ও জিমিকে। কিন্তু এই নয়া নামের একটি বিষয় নিয়ে আপত্তি গাভাসকরের। তিরাশির বিশ্বজয়ী তারকার প্রশ্ন, শচীনের নামের আগে কেন অ্যান্ডারসনের নাম বসানো হয়েছে? কেন ইসিবি এই ট্রফির নাম অ্যান্ডারসন-তেণ্ডুলকর রাখল? তিনি মনে করেন, এক্ষেত্রে ক্রিকেট ঈশ্বরের নামই প্রথমে রাখা উচিত।
গাভাসকরের মতে, শচীনের দীর্ঘ কেরিয়ার, সাফল্য, রেকর্ড- সবদিক থেকেই অ্যান্ডারসনের তুলনায় অনেক এগিয়ে মাস্টার ব্লাস্টার। শুধু তাই নয়, সব ফরম্যাটেই শচীনের নজির জিমির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। সানির কথায়, ‘টেস্টের পাশাপাশি ওয়ানডে-তেও রান এবং সেঞ্চুরির নিরিখে অনেক এগিয়ে শচীন। তাঁর ধারেকাছে কেউ নেই। সেখানে টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপক জিমি। শচীনের রেকর্ডের সঙ্গে ওঁর তুলনাই হয় না।’ জিমি যে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী দলেরও সদস্য নন, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন গাভাসকর। তাই শচীনের নামই প্রথমে রাখা উচিত ছিল ইংল্যান্ড বোর্ডের। সাফ কথা গাভাসকরের।
ইসিবির যুক্তি অবশ্য আলাদা। শচীনকে তারা কোনওভাবেই খাটো করতে চায়নি। বরং তাদের দাবি, শুধুমাত্র অক্ষরের দিক থেকে T-এর আগে A আসে বলেই এভাবে নামকরণ হয়েছে। যদিও এমন যুক্তিকে যথেষ্ট ‘ঠুনকো’ বলেই মনে করছেন গাভাসকর। তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তাঁর আর্জি, তাঁরা যেন সিরিজটিকে তেণ্ডুলকর-অ্যান্ডারসন সিরিজ নামেই ডাকেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.