ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জরিমানার টাকা মেটাতে হবে ললিত মোদিকেই। প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যানের কোনও রকম ‘বায়না’ শুনল না সুপ্রিম কোর্ট। জরিমানার টাকা বিসিসিআই মিটিয়ে দিক, এই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি পিএস নরসিংহ ও আর মহাদেবন। অর্থাৎ ইডির নির্দেশ দেওয়া ১০ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা জরিমানা মেটাতে হবে ললিত মোদিকে (Lalit Modi)।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, বিসিসিআই কোনও ‘পক্ষ’ নয়। তাই তা ‘রিট পিটিশন’-এর আওতায় পড়ে না। ঘটনা হচ্ছে, এর আগে দিল্লি হাই কোর্টও ললিতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আদালতের সময় নষ্টের জন্য এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। এবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান।
কিন্তু কেন ১০ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকার জরিমানা? আসলে পলাতক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইডি-সহ একাধিক ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনই এক দুর্নীতির মামলায় ললিত মোদিকে ২০১৮ সালে ১০ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় ইডি। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আইপিএল চলাকালীন বিদেশি বিনিয়োগ টানতে ফেমা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে ললিতের বিরুদ্ধে। সেই অপরাধেই আইপিএলের প্রাক্তন কমিশনারের বিরুদ্ধে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি।
কিন্তু ললিতের দাবি ছিল, বিসিসিআইয়ের কাছে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য তাঁর। তাই ওই ইডির জরিমানার অর্থ মিটিয়ে দিক বিসিসিআই। এই মর্মে বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়ার দাবিতে বম্বে হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। সেটা খারিজ হয়ে যাওয়ায় ললিত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর দাবি, আইন অনুযায়ী বিসিসিআইয়ের কাজে থাকাকালীন কোনও পদাধিকারী যদি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন তাহলে সেই ক্ষতিপূরণের দায় নিতে হবে বোর্ডকে। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, এন শ্রীনিবাসনকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল বোর্ড। যদিও সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে ললিত মোদি ভারতীয় বোর্ডের কাছে কোনওরকম ক্ষতিপূরণ পান না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.