সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডেনে সিএবি’র প্রথম ডিভিশনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভবানীপুর ও ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচ ঘিরে ধুন্ধুমার। ভবানীপুর ব্যাটার সাকির হাবিব গান্ধীর আউট নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ৫ ঘণ্টা। অবশেষে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় সন্ধ্যা ৬.১০ নাগাদ আবার শুরু হয় ম্যাচ।
ঠিক কী ঘটেছিল? রবিবার ইডেনে শুরু হয়েছে দিন-রাতের এই ফাইনাল। গোলাপি বলে হওয়া ফাইনালের প্রথম দিনের শেষে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ভবানীপুরের স্কোর ছিল ২৫৭/৩। দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন সাকির হাবিব গান্ধী (১০২ ব্যাটিং)। তবে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় অভিষেক রামনের (৯৪)। সোমবার, দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
লাল-হলুদের বাঁ-হাতি পেসার কণিষ্ক শেঠের বলে স্লিপে সাকিরের ক্যাচ ধরেন সন্দীপন দাস। আম্পায়ার কৃষ্ণেন্দু পাল আউটও দিয়ে দেন। আউট হয়ে সাজঘরের পথে হাঁটা লাগান সাকির। তখনই বিপত্তি। সেই সময় স্কোয়ার লেগ আম্পায়ার অভিজিৎ ভট্টাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় কৃষ্ণেন্দুকে। এরপরেই তিনি জানান, আউট হননি সাকির। আউট না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ক্যাচ নাকি ঠিকমতো ধরা হয়নি।
এরপরেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয় ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেটাররা। কর্মকর্তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। এমনকী তাঁরা দল তুলে নেওয়ার হুমকিও দেন। এই ঘটনায় চুপ থাকেনি ভবানীপুরও। তারাও জানিয়ে দেয়, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেওয়া উচিত। কারণ তাঁর যদি মনে হয় ওটা আউট ছিল না, তাহলে সিদ্ধান্ত বদল করতেই পারেন তিনি। সেই সময় সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় মধ্যস্থতার চেষ্টা করলেও বিতর্ক থামেনি। এরপর ইডেনে আসেন সৌরভ। দুই ক্লাবের সঙ্গে জরুরি আলোচনা করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। শেষমেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সাকির গান্ধীকে নটআউট দেওয়া হয়। তবে, ইস্টবেঙ্গল এক্ষেত্রে আর গোঁসা করেনি। ম্যাচ খেলতে রাজি মশাল বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.