ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৯ সালে টিম ইন্ডিয়ার ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন ইরফান পাঠান। তাঁর বাদ পড়ার নেপথ্যে ছিলেন এমএস ধোনি? ঘটনার ১৬ বছর পর এমনই অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার। ২০০৮ সালে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার ঠিক এক বছরের মধ্যে ওয়ানডে দল থেকেও ছিটকে যান পাঠান।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরফান বলেন, “২০০৯ সালের কথা। আমরা সেই সময় নিউজিল্যান্ড সফরে ছিলাম। তখনই ঘটনাটি ঘটে। কোচ গ্যারি কার্স্টেনের কাছে এই খবর জানতে পারি। এর আগে আমার দাদা (ইউসুফ পাঠান) আর আমি শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ জিতিয়েছিলাম। যে পরিস্থিতিতে আমরা জিতেছিলাম, তা অত্যন্ত কঠিন ছিল। আমি নিশ্চিত, আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে এক বছরের মধ্যে তাকে বাদ দেওয়া হত না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে মাত্র ২৭-২৮ বলে ৬০ রান দরকার ছিল। সেখান থেকে জিতি আমরা।”
তিনি আরও বলেন, “নিউজিল্যান্ডে প্রথম তিন ম্যাচে দলের বাইরে রাখা হয়েছিল। বৃষ্টির কারণে চতুর্থ ম্যাচের কোনও ফলাফল হয়নি। শেষ ম্যাচেও ছিলাম না। এরপর গ্যারি স্যরকে জিজ্ঞেস করি, ‘আমাকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে? যদি আমার কিছু উন্নতির প্রয়োজন হয়, তাহলে বলতে পারেন।’ উত্তরে তিনি দু’টি কারণ উল্লেখ করেছিলেন।”
ভারতীয় কোচ বলেছিলেন, এমন কিছু আছে, যা তাঁর হাতে নেই। তখন পাঠান জানতে চেয়েছিলেন, “তাহলে কার হাতে দায়িত্ব? যদিও তিনি আমাকে কিছু বলেননি। আমি ইতিমধ্যেই জানতাম, এর নেপথ্যে কার হাত। প্রথম একাদশ নির্বাচন করে অধিনায়ক। ধোনিই ছিলেন সেই সময়ের অধিনায়ক। ওর সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল নাকি ভুল, সেটা বলব না। কারণ প্রত্যেক অধিনায়কের নিজস্ব পদ্ধতিতে দল পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে।”
প্রাক্তন ক্রিকেটার জানিয়েছেন, যে দ্বিতীয় কারণের ব্যাখ্যা কার্স্টেন দিয়েছিলেন তা হল, সেই সময় টিম ইন্ডিয়া ৭ নম্বরে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার খুঁজছিল। সেই ভূমিকাটি নিয়েছিলেন ইউসুফ পাঠান। উল্লেখ্য, বাদ পড়ার তিন বছর পর ২০১২ সালে ওয়ানডে দলে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর। যদিও মাত্র ১২টা ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান। ভুবনেশ্বর কুমার এবং ইশান্ত শর্মার জায়গা পাকা হওয়ার পর চিরতরে ভারতীয় দলের বাইরে চলে যান ইরফান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.