Advertisement
Advertisement
Ramdas Athawale

‘খেলার সঙ্গে রাজনীতি জড়াবেন না’, ভারত-পাক ম্যাচ বাতিলের বিরুদ্ধে সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

ইংল্যান্ডের মাটিতে হতে চলা ম্যাচ বাতিলে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Don't drag politics into sport, says Ramdas Athawale on India-Pakistan match cancellation

প্রতীকী ছবি।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 20, 2025 4:37 pm
  • Updated:July 20, 2025 4:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রাজনীতির সঙ্গে খেলাকে জড়ানো একেবারেই উচিৎ নয়।’ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস প্রতিযোগিতা বাতিলের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে। তাঁর মতে, খেলা যদি ভারতের মাটিতে হত, তাহলে বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা যেত। কিন্তু ইংল্যান্ডের মাটিতে হতে চলা ম্যাচ বাতিল করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।

Advertisement

ম্যাচ বাতিলের পর এই ইস্যুতে সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে। তিনি বলেন, “খেলাধুলার ক্ষেত্রে রাজনীতি থাকা একেবারেই কাম্য নয়। খেলা ভারতে হলে বিষয়টি গুরুতর হতে পারত। কিন্তু ম্যাচটি হচ্ছে ইংল্যান্ডে। আমরা পাকিস্তানকে যুদ্ধে হারিয়েছি। ওদের ক্রিকেট দলকেও হারিয়েছি। তাই বিরোধীদের খেলার মাঠে রাজনীতি টেনে আনা একেবারেই উচিৎ নয়।” পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় দেশের ভাবাবেগের কথা স্বীকার করেই সন্ত্রাস ও খেলার মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরেন আতাওয়ালে। তিনি বলেন, “এটা ঠিক যে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। তার জবাবে আমরা ওদের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু তার সঙ্গে খেলাকে জড়িয়ে ফেলা ঠিক নয়।”

উল্লেখ্য, রবিবার রাতেই ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে শাহিদ আফ্রিদির পাকিস্তান লেজেন্ডদের বিরুদ্ধে নামার কথা ছিল অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয়দের দলের। ভারতীয় দলে রয়েছেন শিখর ধাওয়ান, স্টুয়ার্ট বিনি, বরুণ অ্যারন, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান, হরভজন সিং, অম্বাতি রায়ডু, ইউসুফ পাঠান, রবিন উথাপ্পারা। অন্যদিকে পাকিস্তান দলে শাহিদ আফ্রিদির নেতৃত্ব ছিলেন খেলার কথা ছিল সরফরাজ খান, সইদ আজমল, সোহেল খান এবং আমির ইয়ামিনের মতো ক্রিকেটারদের। তবে এই ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নেয়। বিশেষ করে পহেলগাঁও আক্রমণ থেকে অপারেশন সিঁদুর, নেটদুনিয়ায় একে অপরকে আক্রমণ করেছিলেন শিখর ও আফ্রিদি।

ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনেকেই ওই হামলার প্রতিবাদে সরব হন। ক্রিকেট মহলের একাংশ থেকেও বলা হচ্ছিল, সন্ত্রাসবাদ আর খেলাধুলো একসঙ্গে চলতে পারে না। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক। সেসব উপেক্ষা করেই আয়োজকরা এই ম্যাচটি খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের পিছু হটতে হল ভারতীয় ক্রিকেটার প্রতিবাদের জেরেই। প্রথম শিখর ধাওয়ান ওই ম্যাচে নামতে আপত্তি জানিয়ে আয়োজকদের চিঠি লেখেন। এরপর একে একে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে আপত্তি জানান হরভজন সিং, ইউসুফ পাঠান, ইরফান পাঠানরা। শেষমেশ আয়োজকরা ওই ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হন।

আয়োজকদের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে ওই ম্যাচ বাতিলের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আয়োজকরা জানিয়েছেন, টুর্নামেন্টের বাকি অংশ সূচি অনুযায়ী চলবে। তবে এই ম্যাচটি বাতিল। আয়জোকদের দাবি, “আমরা ভালো কিছু মুহূর্ত ক্রিকেটপ্রেমীদের উপহার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আঘাত পেয়েছেন। সর্বোপরি ভারতীয় কিংবদন্তিরা আঘাত পেয়েছেন। তাই আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement