সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার আইএসএলের আট দল ফেডারেশন সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল। আইএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কী হবে তা জানতে। সেখানে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে নিশ্চিত করেছেন, চলতি বছরেই হবে আইএসএল। তবে, তার আগে হতে চলেছে সুপার কাপ বলেও উঠে এসেছে ফেডারেশন সভাপতির কথায়। অন্যদিকে, বিভিন্ন আইএসএল ক্লাবের ফুটবলার ও কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া নিয়েও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর কল্যাণ বলেন, “এতে কোনও সন্দেহ নেই, চলতি বছরেই আইএসএল অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু তার আগে, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে আয়োজিত হতে পারে সুপার কাপ। দলগুলি প্রস্তুতি নেবে। ফুটবলারদের বিদেশ থেকে আনতে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। পরবর্তী সভায় এই প্রতিযোগিতা শুরুর তারিখ আমরা ঘোষণা করব।” অর্থাৎ, এই বৈঠকেও স্পষ্ট বোঝা গেল না আইএসএলের ভবিষ্যৎ কোন খাতে বইতে চলেছে। অনেকেই বলছেন, হয়তো এই কারণে ‘এ বছরেই আইএসএল হবে’ বলে ছেড়ে দিয়ে সুপার কাপ শুরুর কথা বলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আইএসএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে জট এখনও কাটেনি। এফএসডিএলের সঙ্গে এআইএফএফের চুক্তি মাস্টার্স রাইটস এগ্রিমেন্ট অর্থাৎ এমআরএ নবীকরণ নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই। যে কারণে আগামী মরশুমের আইএসএল নিয়ে ডামাডোল অব্যাহত। দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগ নিয়ে এই অনিশ্চয়তার মধ্যে ওড়িশা এফসি এবং বেঙ্গালুরু এফসি’র পথে হেঁটে দু’বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়িন এফসি ফুটবলার ও কর্মচারীদের বেতন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন ফেডারেশন সভাপতি।
তিনি বলেন, “এটা তো ক্লাবের সিদ্ধান্ত। কোন ক্লাব কীভাবে তাদের ফুটবলার বা কর্মীদের বেতন দেবে, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এ নিয়ে আমরা কোনওভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারি না। বিশ্বের যে কোনও সেরা লিগে এটাই নিয়ম।” এর ফলে ফেডারেশনের ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আপাতত বিকল্প পথ একমাত্র সুপার কাপ। ২০১৮ সালে ফেডারেশন কাপের বদলে চালু হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। কিন্তু আইএসএলের আগে সুপার কাপ শুরু হলে টুর্নামেন্টের ফরম্যাটই বা কেমন হতে চলেছে, তা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে।
প্রশ্ন হল, যে ক্লাবগুলি আইএসএলের অনিশ্চয়তার মাঝে কঠিন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটল, তাদের কী হবে? তারা কীভাবে সুপার কাপ খেলবে? এর উত্তর নেই। এদিনের বৈঠকে অনেক আশা নিয়েই উপস্থিত হয়েছিল তারা। কিন্তু তাদের আশা যে পূরণ হল না, তা ফেডারেশন সভাপতির কথা থেকেই স্পষ্ট। উল্লেখ্য, এফসি গোয়া, নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড, কেরালা ব্লাস্টার্স, ওড়িশা এফসি, হায়দরাবাদ এফসি, বেঙ্গালুরু এফসি, জামশেদপুর এফসি ও পাঞ্জাব এফসি একত্র হয়ে এই চিঠি দিয়েছিল ফেডারেশনকে। তারাই উপস্থিত ছিল এদিনের বৈঠকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.