Advertisement
Advertisement
Bihar Assembly Elections

মহাজট! মনোনয়ন শেষের একদিন আগেও চূড়ান্ত হয়নি আসনরফা, আলাদা করে প্রার্থী ঘোষণা শুরু কংগ্রেসের

ইতিমধ্যেই অধিকাংশ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে ফেলেছে এনডিএ।

Bihar Assembly Elections: Tejashwi Yadav's Ultimatum To Key Ally

ছবি সংগৃহীত

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 16, 2025 12:33 pm
  • Updated:October 16, 2025 2:43 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হয় এই প্রস্তাব গ্রহণ করো, নয় বিদায় হও। আসনরফা নিয়ে টালবাহানা এবং অত্যাধিক দর কষাকষিতে বিরক্ত হয়ে মুকেশ সাহানিকে চরম বার্তা দিয়ে দিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তাঁর সাফ কথা, মুকেশ যদি তাঁর প্রস্তাব মানেন, তাহলে জোটে থাকবেন। নাহলে থাকবেন না। মজার কথা হল, শরিকরা আসনরফা ঘোষণা করতে না পারায় নিজেদের মতো করে টিকিট বিলি শুরু করে দিয়েছে। 

Advertisement

বিহারে প্রথম দফার ভোট ৬ নভেম্বর। ওই দফার জন্য মনোনয়নের সময়সীমা ১৭ অক্টোবর। অর্থাৎ হাতে আর ৩০ ঘণ্টা সময়ও নেই। এনডিএ আসনরফা ঘোষণা করে অধিকাংশ আসনে প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করে ফেলেছে। অথচ ইন্ডিয়া জোট এখনও সরকারিভবে আসনরফা ঘোষণা করতে পারেনি। সূত্রের দাবি, আসনরফা ঘোষণায় এই ঢিলেমির মূল কারণ বিকাশশীল ইনসান পার্টির মুকেশ সাহানি। মুকেশের বেমক্কা দাবি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে।

বিহারে আসনরফা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটে। অধিকাংশ বড় জোট শরিক মোটামুটি আসনরফায় সন্তুষ্ট। সমস্যা হচ্ছে মুকেশ সাহানিকে নিয়ে। প্রাথমিকভাবে যা আরজেডি ঠিক করেছে সেটা হল, তারা নিজেরা লড়বে ১৩০-১৩৫ আসনে। কংগ্রেস ৫৮ আসনে। বামেদের ছাড়া হবে ২৫-২৬ আসন। ভিআইপি ১৫-১৬ আসনে লড়তে পারে। বাকি আসন ভাগ হবে পশুপতি পারস এবং জেএমএমের মধ্যে। সমস্যা হল, বাকি দলগুলি এই রফা মানলেও ভিআইপির মুকেশ সাহানি মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, অন্তত ২৪ আসন ছাড়তেই হবে ভিআইপিকে। মুকেশ সাহানি নিজে মল্লা জাতির। বিহারের মৎস্যজীবী এবং মাঝিদের মধ্যে তাঁর সমর্থন রয়েছে বলে দাবি।

এই মুকেশ সাহানির বরাবরই আসনরফা নিয়ে দাবিদাওয়া বেশি। একটা সময় তাঁর দাবি ছিল, তাঁকে অন্তত ৫০ আসন ছাড়তে হবে। সেই সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা করতে হবে। সেই দাবি কমে অন্তত ২৪ আসনে থেমেছে। কিন্তু জোটের অন্য শরিকরা মনে করছেন, নিজের যা শক্তি তার চেয়ে অনেকটাই বেশি দাবি করছেন ভিআইপি প্রধান। আরজেডির মুখ তেজস্বীরও তেমনটাই মত। তাছাড়া মুকেশ সাহানির এই দাবি মেনে নিলে জোটের অন্য শরিকরাও রুষ্ট হবেন। জোটে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। তাই বেকায়দায় পড়ে মুকেশ সাহানিকে তেজস্বী যাদব চরম বার্তা দিয়ে দিয়েছেন, হয় ১৫ আসনে লড়াই করো। নয়তো বিদায় নাও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুকেশের কিন্তু অতীতে শেষ মুহূর্তে পালটি খাওয়ার ইতিহাস আছে। ২০২০ সালেও শুরুতে মহাজোটের অংশ ছিল ভিআইপি। শেষে আসনরফা পছন্দ না হওয়ায় শেষ মুহূর্তে চলে যান এনডিএ-তে। এনডিএর অধীনে ১১ আসন লড়ে জেতেন ৪টিতে। এবার অবশ্য সে পথ নেই। এনডিএর রফা আগেই সারা। সম্ভবত, সেই সেকারণেই মুকেশের উপর চাপ বাড়ানো শুরু করলেন তেজস্বী।

এসবের মধ্যে আবার কংগ্রেস নিজেদের মতো করে টিকিট বিলি শুরু করেছে। বুধবার রাতে কংগ্রেসের দলীয় দপ্তরে কয়েকজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। সেই টিকিট বিলি নিয়েও বিবাদ শুরু হয়েছে। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ