সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জনসংখ্যা মাত্র ৫ লক্ষ। ফুটবলার খোঁজা হয়েছিল লিংকডইনে। পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কেপ ভার্দের নাম হয়তো অনেকেই জানেন না। সেই দেশই আগামী বছর ফুটবল বিশ্বকাপ খেলবে। এসওয়াতিনিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট অর্জন করে ফেলল ব্লু শার্কসরা। তাদের সাফল্যের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই ভারতের ফুটবল ভক্তরা প্রশ্ন তুলছেন, ৫ লক্ষ জনসংখ্যার দেশ যদি পারে, তাহলে ১৪০ কোটির দেশের কবে স্বপ্নপূরণ হবে?
আফ্রিকা মহাদেশের বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে ডি গ্রুপে আছে কেপ ভার্দে। এই গ্রুপে ক্যামেরুনের মতো শক্তিশালী দলও আছে। আন্দ্রে ওনানা, ব্রায়ান এমবেউমোর মতো তারকাদের দল ক্যামেরুনকে গত মাসে ১ গোলে হারিয়েছিল কেপ ভার্দে। তারপর বাকি দুই ম্যাচে মাত্র একটি ম্যাচ জিতলেই হত। লিরিয়ার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করার পর এসওয়াতিনির বিরুদ্ধে আর সেই ভুল করেনি। দালিওন লিভ্রামেন্তো, উইলি সেমেদো ও স্তোপিরার গোলে বিশ্বকাপের ছাড়পত্র অর্জন করে নেয় তারা। ২০১৮ সালে আইসল্যান্ডের পর জনসংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে গেল ৭০ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা দেশটি।
এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রবার্তো ‘পিকো’ লোপেজের গল্প। পারিবারিক শিকড় কেপ ভার্দেতে। জন্ম-কর্ম আয়ারল্যান্ডে। ৩২ বছর বয়সি সেন্টার ব্যাক আইরিশ ক্লাব শামরক রোভার্সের হয়ে খেলেন। স্বপ্ন ছিল আয়ারল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলার। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলেছেনও। বছর ছয়েক আগে লিংকডইনে তাঁর কাছে একটি মেসেজ আসে। পর্তুগিজ ভাষায় সেই বার্তা প্রথমে খেয়ালই করেননি লোপেজ। মাস কয়েক পরে ইংরেজিতে ফের মেসেজ আসতেই দেখেন, কেপ ভার্দের হয়ে খেলার আহ্বান পাঠিয়েছেন সেই সময়ের কোচ। এবার আহ্বান অগ্রাহ্য করেননি লোপেজ।
১৯৭৫ সালে পর্তুগালের থেকে স্বাধীনতা পায় ৫ লক্ষ জনসংখ্যার দেশটি। তাদের লিগে খেলে মাত্র ১২টি দল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে তারা। ২০২৩-র আফ্রিকা কাপ অফ নেশনসে ঘানাকে হারিয়েছে, মিশরের সঙ্গে ড্র করেছিল। শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের লড়াই থামে। এবার সেই দেশের সমর্থকদের নজর বিশ্বকাপের ড্রয়ে। কোন গ্রুপে পড়ে তারা সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.