Advertisement
Advertisement
ডার্বি

ডার্বিতে বেইতিয়ার থেকে এগিয়ে থাকবে কোলাডো, বলছেন মনোরঞ্জন

মরশুমের প্রথম ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকেই এগিয়ে রাখলেন প্রাক্তন ফুটবলার।

Derby: Manoranjan Bhattacharya puts Colado ahead of Beitia
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:September 1, 2019 9:07 am
  • Updated:September 1, 2019 9:07 am  

মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: ডার্বি এলেই বারবার একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হই- ইস্টবেঙ্গল জিতবে? হয়তো দীর্ঘদিন লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলেছি কিংবা কোচিং করেছি বলেই এই প্রশ্নের সামনে পড়তে হয়। এতদিনে একটা ব্যাপার আমার কাছে পরিষ্কার, যাই বলি অক্ষরে অক্ষরে ফলবে তার কোনও মানে নেই। এবারও যেমন বলছি, ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে। আজ হয়তো দেখলেন আমি যা বলেছি তা ভুল হল। আসলে দুই প্রধানের খেলা দেখে যা মনে হয় তাই তুলে ধরার চেষ্টা করি। এবারও যেমন তুলে ধরছি- কতকগুলো ইতিবাচক দিক ইস্টবেঙ্গলের দিকে রয়েছে বলেই। সেই দিকগুলো নিয়ে এবার পোস্টমর্টেমে যাচ্ছি।

Advertisement

ইস্টবেঙ্গলের পাঁচটা ইতিবাচক দিক চোখে পড়েছে। এক, ইস্টবেঙ্গলে গোল করার লোক বেশি। শুধু কোলাডো বা বিদ্যাসাগর সিং নয়, পিন্টু মাহাতো, ডিকা প্রত্যেকেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারে। সেই জায়গায় ডিফেন্স নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই মোহনবাগানে। যে কোনও দলে গোল করার লোক বেশি থাকলে সেই দল মনোবলে এগিয়ে থাকবে। সেখানে মোহনবাগানের গোল করার লোক কোথায়? চামোরো, বেইতিয়ার পর কিছুটা সুহের। দুই, মাঝমাঠ। আমার মনে হয়েছে, মাঝমাঠ ইস্টবেঙ্গলকে ভরসা জোগাচ্ছে। কোলাডো, পিন্টু, ডিকারা মাঝমাঠে দাপিয়ে খেলছে তো বটেই। সেই সঙ্গে করছে প্রান্ত বদল। কখনও এক জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে না। ডিফেন্সে খেলেছি বলে জানি, এই ধরনের ফুটবলারদের ধরা খুব কঠিন। সেই জায়গায় মোহনবাগানের ডিফেন্স ঠোক্কর খেতে বাধ্য।

তিন, মাঝমাঠে প্রতিপক্ষদের বেশি পাস খেলার সুযোগ দেয় না। জোনাল মার্কিংয়ে গোটা দল নেমে আসে। তাই দু’একটা পাস খেলার পরেই প্রতিপক্ষ দল ধরা পড়ে যায়। চার, কোলাডো, ডিকারা, ইতিমধ্যে ডার্বি খেলার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ফেলেছে। তারা জেনে গিয়েছে, কোথায় কীভাবে গেলে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেওয়া যাবে। সেখানে মোহনবাগান নবাগত বিদেশিদের নিয়ে দল সাজিয়েছে। তাদের কাছে ডার্বির মাহাত্ম্য তেমন জানা নেই। পাঁচ, কোচ আলেজান্দ্রো। স্প্যানিশ কোচের দর্শন হল, প্রতিপক্ষকে কখনও এগোতে দেব না। অর্থাৎ যাই করুক গোল যেন না করতে পারে। প্রতি- আক্রমণে দলকে তুলে নিয়ে এসে গোল করে যাওয়া তাঁর লক্ষ থাকে। একটা কথা মানতেই হবে, প্রথমে যদি কোনও দল গোল খেয়ে যায় তাহলে তার মাথায় থাকে দু’গোল করতে হবে। গোল না খেলে তখন বাড়তি চাপ এসে পড়ে না।

অনেকদিন ধরেই শুনছি, এবারের ডার্বি নাকি কোলাডো বনাম বেইতিয়ার হতে চলেছে। আসলে এসব মিডিয়ার সাজানো। বরাবর মিডিয়া ম্যাচের উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য দুই প্রধানের দুই তারকার মধ্যে লড়াই লাগিয়ে দেয়। যাইহোক, যদি সত্যি দু’জনের তুলনা করি তাহলে কোলাডোকে সামান্য হলেও এগিয়ে রাখব। আসলে কোলাডো সামনে থেকে খেলে। বেইতিয়া উঠে পিছন থেকে। প্রকৃত গোলদাতার তালিকায় আমি বেইতিয়াকে রাখব না। যেখানে থাকবে কোলাডো। মুর্হুমুহু প্রান্ত বদল করার ক্ষেত্রে কোলাডোর জুড়ি মেলা ভার।

তবে শেষ মুহূর্তে আর একজনকে টেনে আনব, সে হল কাসিম। ডিফেন্সের উপর ব্লকার হিসাবে খেলে। কিন্তু প্রয়োজনে আবার ডিফেন্সকে দারুন সাহায্য করে। এই ছেলেটা ডুরান্ড সেমিফাইনালে গোকুলামের মার্কাসকে প্রায় কাবু করে দিয়েছিল। ইস্টবেঙ্গল যে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরছে তার পেছনে সিংহভাগ কৃতিত্ব থাকবে এই ছেলেটার। তাই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে না রেখে অন্য কাউকে সেই জায়গায় রাখতে পারছি না। যুক্তি বা অঙ্কে, সব দিক থেকে এগিয়ে এরাই। এখন দেখা যাক রবিবার বিকেলে আমার ভবিষ্যদ্বানী মেলে কিনা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement