ছবি অমিত মৌলিক
শিলাজিৎ সরকার: ময়দানের প্রবাদ বলে, ডার্বি তারকার জন্ম দেয়। দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের ক্ষেত্রে কথাটা পুরোপুরি খাটে না। কারণ সমর্থকদের মধ্যে তাঁর পরিচিতি নেই, এমনটা নয়। বরং গত মরশুমের ব্যর্থতার পর সমর্থকদের একটা বড় অংশই ক্ষিপ্ত ছিলেন এই গ্রিক ফরোয়ার্ডের উপর। চেয়েছিলেন, দিমিত্রিয়সকে ছেড়ে দিক ইস্টবেঙ্গল!
সেদিক থেকে রবিবাসরীয় যুবভারতী দিমিত্রিয়সের কাছে ছিল সম্মান পাওয়ার মঞ্চ। ভালোবাসা পাওয়ার মঞ্চ। টিম বাস যখন স্টেডিয়াম ছাড়ছে, তখন নিজের নামে জয়ধ্বনি শোনার মঞ্চ। সেই কাজটা দারুণভাবেই করলেন লাল-হলুদের ‘গ্রিক গড’। দু’টো গোল করলেন। মরশুমের শুরুতে এনে দিলেন ডার্বি জয়ের আনন্দঘন মুহূর্ত। সঙ্গে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে দিলেন দলকে। যে পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরাও হলেন দিমিত্রিয়স। সবটাই সমর্থকদের উৎসর্গ করলেন।
তবে এদিন আরও দু’টো গোল করতে পারতেন তিনি। তা নিয়ে আক্ষেপও গোপন করেননি। বলছিলেন, “এই জয়ের অনুভূতি অসাধারণ। আমরা ডার্বি জিতলাম। সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজ সব মিলিয়ে আমরা দারুণ খেলেছি। আমরা আরও গোল করতে পারতাম। আমি নিজেই একটা সুযোগ নষ্ট করেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমরা ম্যাচটা জিতেছি। আর এর সবটাই আমাদের সমর্থকদের জন্য। কারণ ওঁরা শেষ মিনিট পর্যন্ত আমাদের সমর্থন করে যান।”
অথচ ডার্বিতে নায়ক হওয়ার থেকে অনেকটাই দূরে ছিলেন দিমিত্রিয়স। কোচ অস্কার ব্রুজোর প্রথম একাদশের পরিকল্পনায় ছিল না তাঁর নাম। বরং স্প্যানিশ হেডস্যর ছক কষেছিলেন হামিদ আহদাদকে কেন্দ্রে রেখে। কিন্তু মরোক্কান ফরোয়ার্ড ১৮ মিনিট নাগাদ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হওয়ায় নামানো হয় দিমিত্রিয়সকে। আর লেমন ব্রেকের ঠিক সাত মিনিট আগে এবং পরে গোল করে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নায়ক হলেন তিনিই। যে পারফরম্যান্স নিয়ে কোচ অস্কারও শুনিয়ে গেলেন, “শেষ ম্যাচে পরিকল্পনা করেই ওকে মাঠে নামায়নি। আজ কী দুর্দান্তই না খেলল! আশা করছি, দিমিত্রিয়স ছন্দে ফিরছে এবার।” সত্যিই, আইএসএলে কেরালা ব্লাস্টার্সের জার্সিতেও দিমিত্রিয়স ‘গোলমেশিন’ হয়ে উঠেছিলেন নিজের দ্বিতীয় মরশুমে। ইস্টবেঙ্গলের হয়েও যেন তারই ইঙ্গিত রবিবার দিয়ে গেলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.