ছবি অপ্রতিম পাল
প্রসূন বিশ্বাস: বুধবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে অনুশীলনের চিত্রটাই বলে দিচ্ছিল, কেন আই লিগের দল হলেও ডুরান্ড কাপে প্রতিপক্ষ আইএসএল দলগুলো সমীহের চোখে দেখছে ডায়মন্ড হারবার এফসিকে। কেন দেখবে না? লুকা মায়সেনের মতো সুযোগ সন্ধানী স্ট্রাইকার এবার যোগ দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারে। যাঁর ক্ষিপ্রতা যে কোনও সময় বিপক্ষের রক্ষণভাগের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। এদিন অনুশীলনেই প্রমাণ দিচ্ছিলেন বারবার। ক্লেটন সিলভেইরা চোটের জন্য এই ম্যাচে না থাকায় বুধবার দলের আক্রমণভাগে লুকাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। রয়েছে মিকেল কোর্টাজার, জবি জাস্টিনের মতো অভিজ্ঞ নাম।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পরই দলকে উদ্বুদ্ধ করতে বার্তা পাঠিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের চিফ পেট্রন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে দল।” সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জবিরা জামশেদপুর এফসি’র মতো আইএসএল দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে এসেছেন। এবার সামনে অস্কার ব্রুজোর ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটন চোটের জন্য না থাকায় কোচ কিবু ভিকুনাকে বুধবার দুই বিদেশি লুকা ও মিকেলের ওপরই ভরসা করতে হবে। এদিন কিবু বলেন, “ফুটবলে সবকিছু সম্ভব হয়। ওরা ভালো দল হলে আমরাও ভালো। ওদের শক্তি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। সবসময় সেরা দল জেতে না। জয়ের জন্য ভাগ্য সহায় থাকতে হয়। মাথায় রাখতে হবে, দু’টো দল ম্যাচটা খেলে।” এদিন অনুশীলনে নামার আগে ফুটবলারদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন কোচ কিবু।
খাতায় কলমে এবারের আই লিগের সেরা দল হলেও ডায়মন্ড হারবার ম্যানেজমেন্ট দল কতটা তৈরি হয়েছে, তা দেখে নিতে চাইছে। কিবুর কথায়, “আমাদের মূল লক্ষ্য আই লিগ থেকে দলটাকে আইএসএলে তুলে আনা। একই সঙ্গে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কেও একটা ধারণা তৈরি করতে হবে। আই লিগের আগে কতটা প্রস্তুত রয়েছি, সেটাও দেখার বিষয়। ডুরান্ডের গ্রুপ পর্ব যথেষ্টই কঠিন ছিল। মোহনবাগান, মহামেডানের মতো দু’টো আইএসএল দল ছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে আরেকটা আইএসএল দলের বিরুদ্ধে জিতে সেমিফাইনালে উঠে এসেছি। আমি যেমন প্রতিপক্ষকে সমীহ করছি, প্রতিপক্ষেরও উচিত আমাদের সমীহ করা।” ক্লাবের সহ-সভাপতি আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের ক্লাবের জন্যও এটা বড় ম্যাচ। আশা করছি, দল এই ম্যাচেও ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফাইনালে যেতে পারবে। ডায়মন্ড হারবারের বহু মানুষ টিকিট নিয়ে গিয়েছেন। তাদের আশাহত না করা নিয়ে আশাবাদী।”
কোচের সঙ্গে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন লাল-হলুদের প্রাক্তনী জবি। তিনি বলেন, “পুরনো ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলাটা সবসময় স্পেশাল। ওদের সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। যদিও এখন আমি পুরোপুরি ফোকাস করছি ডায়মন্ড হারবার নিয়েই। যদি ভালো গোল করতে পারি, তখন কীভাবে উদযাপন করব তা আগে থেকে বলতে পারব না হয়তো। তবে সবসময় প্রতিপক্ষের ফুটবলার আর প্রাক্তন ক্লাবের সমর্থকদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে আমার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.