Advertisement
Advertisement
Durand Cup Derby

‘আমাদের যা টিম’, ডুরান্ডের ডার্বি জেতা নিয়ে আশাবাদী সৃঞ্জয়, ‘লড়াই হবে’, বলছেন দেবব্রত

টিকিটের হাহাকার নিয়ে কী বলছেন দুই প্রধানের দুই কর্তা?

Durand Cup Derby: Both East Bengal and Mohun Bagan are hopeful of a positive result
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 16, 2025 7:45 pm
  • Updated:August 16, 2025 7:45 pm   

দুলাল দে ও প্রসূন বিশ্বাস: কলকাতা লিগে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান। তবে ওই ম্যাচে সেভাবে দু’দলের বড় তারকারা ছিলেন না। অধিকাংশই ছিলেন জুনিয়র দলে খেলা ফুটবলাররা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে রবিবার ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যে ডার্বি হতে চলেছে সেটাকেই মরশুমের প্রথম বড় ম্যাচ বলা চলে। আর বড় ম্যাচ মানেই টেনশনের চোরাস্রোত, স্নায়ুর চাপ। যদিও মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস খুব একটা চিন্তিত নন। তিনি বলছেন, “যে টিম আমাদের রয়েছে তাতে বড় ম্যাচ জেতার ব্যাপারে আমি আশাবাদী।” “দল লড়াই করার জায়গায় আছে”, আশাবাদী ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও।

Advertisement

মরশুমে সবে গোটা তিনেক ম্যাচ খেলেছে মোহনবাগানের সিনিয়র দল। সব ফুটবলার আসেননি। আবার যারা এসেছেন তারাও সবাই ম্যাচ ফিট নন। একসঙ্গে বেশিদিন অনুশীলন না হওয়ায় দলের ফুটবলারদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হতেও সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যা মেনে নিয়েও সৃঞ্জয় বলছেন, “মরশুমের শুরুর দিকে এত বড় টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে দু’দল খেলছে। কিছু সমস্যা হবেই। তবে সেই ডিসঅ্যাডভান্টেজ দুই শিবিরেরই।” মোহনবাগান সচিবের কথায়, “বড় ম্যাচ সবসময় আলাদা। বাড়তি স্নায়ুর চাপ থাকে। কিন্তু আমাদের যা টিম আছে, তাতে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।” ইস্টবেঙ্গল যে এবার ভালো দল গড়ছে, সেটাও মেনে নিয়েছেন  সৃঞ্জয়। তবে নিজের দলের প্রতিও বিশ্বাস রয়েছে তাঁর। 

ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারও একই রকমভাবে আশাবাদী। তিনি বলছেন, “ডার্বির দিন সকালে যে দল চাঙ্গা থাকবে, সেই দলই জিতবে। গত বছরও আমাদের দল ভালো ছিল। চোটের জন্য আমরা পিছিয়ে পড়েছিলাম। এ বছর দল আরও ভালো। আশা করি এবার আমরা লড়াই করার মতো জায়গায় আছি।” ডার্বির আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে লাল-হলুদ শিবির। মহম্মদ রশিদের পিতৃবিয়োগ হয় শুক্রবার। তিনি দেশে ফিরে গিয়েছেন। তবে তাতে বিশেষ সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন দেবব্রত সরকার। তাঁর কথায়, “পেশাদার ফুটবলে এগুলো হয়। আমি আশা করব বাকি ফুটবলাররা এই ম্যাচটা জিতে রশিদের বাবাকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।”

অতীতে ডুরান্ড ডার্বির টিকিট নিয়ে একাধিকবার আয়োজকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এ বছরও টিকিট নিয়ে সেই চেনা হাহাকারের ছবিই দেখা গিয়েছে। যদিও সেসব নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে নারাজ দেবব্রত সরকার। আর মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস টিকিটের চাহিদাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন। তাঁর বক্তব্য, “ডার্বিতে টিকিটের চাহিদা থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। এই ডার্বিই তো বাংলার ফুটবলের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ