ইস্টবেঙ্গল: ৩ (জেসন ২, ডেভিড)
ডায়মন্ড হারবার: ১ (পবন)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা লিগে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখলেন সমর্থকরা। রবিবার চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এবং ডায়মন্ড হারবার এফসি। ম্যাচটি ইস্টবেঙ্গলের কাছে ছিল কার্যত বদলা নেওয়ার। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে হারের বদলা রবিবার কিশোরভারতীতে ডায়মন্ড হারবারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নিল ইস্টবেঙ্গল।
সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে কার্ড সমস্যার কারণে খেলতে পারেননি সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবজিৎ মজুমদার। এই দুই ফুটবলারই রেখেই এদিন প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। এদিন শুরু থেকেই তুল্যমূল্য লড়াইয়ে জমে উঠেছিল খেলা। ইস্টবেঙ্গলকে ২৩ মিনিটে এগিয়ে দেন ডেভিড লালহানসাঙ্গা। এক্ষেত্রে আমন সিকের তারিফ করতে হয়। তাঁর পাস থেকেই বল জালে জড়ান ডেভিড।
গোলের পর উজ্জীবিত ফুটবল খেলে মাঝমাঠ নিজেদের অনুকূলে রাখার চেষ্টা করেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। এই সময় ব্যবধান বাড়তেই পারত। এই সময় ডায়মন্ড গোলরক্ষক সুস্নাত মল্লিক বেশ কিছু গোল না বাঁচালে ডায়মন্ড হারবারের সামনে বিপদ বাড়তে পারত। প্রথম ক্ষেত্রে সায়ন বন্দোপাধ্যায় বাঁদিক থেকে উঠে এসে কাটব্যাক করে শট নেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারও সমতায় ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করে। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই ঝাঁজ বাড়ায়। জবি জাস্টিন একক দক্ষতায় একক দক্ষতায় একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও গোল হয়নি। লাল-হলুদ গোলকিপার দেবজিৎ এই সময় আক্ষরিক অর্থে হয়ে ওঠেন ‘সেভজিৎ’। ইস্টবেঙ্গলও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে। পিভি বিষ্ণু বেশ কয়েকবার ডায়মন্ড হারবার রক্ষণে বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে যান। ৭২ মিনিটে ডায়মন্ড হারবারকে সমতায় ফেরান পবন।
তাদের সেই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৭৫ মিনিটে জেসন টিকের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। ৮০ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিতে পারতেন সায়ন। তাঁর শট সরাসরি চলে যায় ডায়মন্ড হারবার গোলকিপারের কাছে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম লগ্নে, দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে (৯০+৭) ফের গোল করেন জেসন টিকে। শেষমেশ ৩-১ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.