Advertisement
Advertisement
East Bengal

দুই ডার্বি জয় এগিয়ে রাখবে ইস্টবেঙ্গলকে, শিল্ড ফাইনাল নিয়ে মত লাল-হলুদ প্রাক্তনী মনোরঞ্জনের

'ডার্বি একতরফা হবে না', বলছেন মনোরঞ্জন।

East Bengal has advantage in IFA shield final, says Manoranjan Bhattacharya
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:October 17, 2025 1:14 pm
  • Updated:October 17, 2025 1:14 pm   

মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: একে ডার্বি। তার উপর আইএফএ শিল্ড ফাইনাল। একটা দুর্দান্ত ম্যাচ হতে চলেছে শনিবার। আসলে এই প্রতিযোগিতাটা দুই প্রধানের কাছেই খুব সম্মানের। মোহনবাগানের ক্ষেত্রে রয়েছে ১৯১১-র রূপকথা। আবার ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রে ইরানের পাস ক্লাবকে হারানো বা ‘৭৫-এর ফাইনালে ডার্বিতে পাঁচ গোলের বিষয়টিও রয়েছে। কয়েকদিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের সেই ৫-০ জয়ের অর্ধশতাব্দী পূর্ণ হয়েছে। তাছাড়া ইস্টবেঙ্গল এই প্রতিযোগিতার সর্বকালের সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়নও বটে। ফলে ওরা যেমন চাইবে ট্রফির সংখ্যা একটা বাড়িয়ে নিতে, মোহনবাগানের লক্ষ্য থাকবে ক্লাবের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করা।

Advertisement

গত কয়েক মরশুমের থেকে এবার ডার্বির চরিত্র কিছুটা অন্য। এখনও পর্যন্ত চলতি মরশুমে দু’টো ডার্বি হয়েছে। একটা কলকাতা লিগে, যেখানে মূলত দুই দল নেমেছিল রিজার্ভ স্কোয়াড নিয়ে। আর ডুরান্ড কাপ, যেখানে দু’টো দল নিজেদের ক্ষমতার শীর্ষে ছিল না। তবে দু’টো ডার্বিতেই বাজিমাত করেছে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচের আগে এই দুই ম্যাচের ফলাফল পক্ষে থাকা কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ তাদের জন্য। ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোর কোচিং আমার বেশ ভালো লাগে। গত মরশুমের মাঝে তিনি যখন দলের দায়িত্ব নিয়েছিল, তখন ইস্টবেঙ্গল বেশ নড়বড়ে অবস্থায় ছিল। পরপর ম্যাচ হারের ধাক্কা, একটার পর একটা চোট। সেসব সামলে দলটাকে এখন ভালো জায়গায় নিয়ে এসেছেন অস্কার। ওঁর ম্যাচ রিডিং দারুণ। আর ফুটবলার পরিবর্তন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলোও বেশ ভালো নেন। সেটাও শিল্ড ফাইনালের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের শক্তি হতে চলেছে।

মোহনবাগান শিল্ড ফাইনালে নামবে একটু চাপ নিয়েই। একে ওরা মরশুমের প্রথম দু’টো ডার্বি হেরেছে। তার উপর মাঠের বাইরের ঘটনাবলি প্রভাব ফেলছে দলের উপর। আর দলের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা চিন্তা রয়েছে। তবে ওদের দলে ম্যাচ উইনার প্রচুর। ফলে যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলের ক্ষমতা মোহনবাগানের আছে। সবমিলিয়ে বলব, এই ডার্বি একতরফা হবে না। দু’দলই তাদের সেরা একাদশ পাবে। জাতীয় দলের ম্যাচ খেলে ফুটবলাররাও ফিরে এসেছে। ফলে জমজমাট একটা ম্যাচ হবে বলেই আমি আশাবাদী। আর এমন ম্যাচে আগে গোল করতে পারলে অনেকটা সুবিধা পাওয়া যাবে। কারণ তখন বিপক্ষের উপর গোল শোধের চাপ থাকবে। ওরা মরিয়া হয়ে আক্রমণ করবে। সেই সময় প্রতি আক্রমণে গোলসংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে। শনিবার সেদিকে নজর রাখতে হবে দুই কোচকেই।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ