Advertisement
Advertisement
Durand Derby

দিয়ামান্তাকোসের জোড়া গোলে ডুরান্ড ডার্বি জয়ী ইস্টবেঙ্গল, মাঝমাঠই ডোবাল মোহনবাগানকে

দেড় বছর পর ডার্বির রং লাল-হলুদ।

East Bengal wins Durand Derby to reach semifinals
Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:August 17, 2025 6:33 pm
  • Updated:August 17, 2025 11:50 pm  

ইস্টবেঙ্গল: ২ (দিয়ামান্তাকোস)
মোহনবাগান: ১ (থাপা)

Advertisement

ডুরান্ড ডার্বিতে দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই ছিল। তবে, রবিবাসরীয় ডার্বিতে মোলিনাকে টেক্কা দিলেন ব্রুজো। এদিন চোটের জন্য মোহনবাগান পায়নি মনবীর সিং ও কিয়ান নাসিরিকে। মনবীর না থাকায় মোহনবাগানের ডানপ্রান্ত অনেকটাই দুর্বল ছিল। তাছাড়াও সবুজ-মেরুনকে কখনওই সংগঠিত মনে হয়নি। ৫৬ শতাংশ বল পজিশন নিয়েও মাঝমাঠের ব্যর্থতার জন্য জিততে পারল না মোহনবাগান। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলে ছিলেন না মহম্মদ রশিদ। তাঁর পিতৃবিয়োগ হয় শুক্রবার। দেশে ফিরে গিয়েছেন। ডার্বি তাঁকেই উৎসর্গ লাল-হলুদের।

খেলা শেষ। দেড় বছর পর ডার্বির রং লাল-হলুদ। এর আগে ২০২৪ সালের সুপার কাপে ডার্বি জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। 

৯২ মিনিট: সহজ সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের।
৮৫ মিনিট: আশিস রাইয়ের পরিবর্তে নামলেন সুহেল ভাট। এরপর আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ায় মোহনবাগান।

৮১ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলেরও তিন বদল। পিভি বিষ্ণু, সৌভিক চক্রবর্তী, ডেভিড লালহানসাঙ্গাকে নামানো হয় মহেশ সিং, বিপিন সিং এবং এডমুন্ডের জায়গায়।

৭২ মিনিট: গোলের পর চেগে উঠেছে সবুজ-মেরুন। এরই মধ্যে সুযোগ নষ্ট আশিস রাইয়ের। তবে, মুহুর্মুহু আক্রমণ করছেন মোলিনার ছেলেরা। 

৬৮ মিনিট: অনিরুধ থাপার গোলে ব্যবধান কমায় মোহনবাগান। বক্সের বাইরে থেকে ডিফেন্স চেরা শটে গোল করেন তিনি। যদিও ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের ভুলকে এর জন্য দায়ী করা যায়। যদিও ঠিক এক মিনিট আগে লিস্টনের শট বারে লাগে। 

সাহল আবদুল সামাদ, টস অ্যালড্রেড, অনিরুধ থাপার জায়গায় নামলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, দীপক টাংরি, দীপেন্দু বিশ্বাস।

৬২ মিনিট: বেশ কিছু আক্রমণ তৈরি করলেও ব্যবধান কমাতে ব্যর্থ হয় সবুজ-মেরুন। 
৫১ মিনিট: ফের গোল দিয়ামান্তাকোসের। ২-০ লিড ইস্টবেঙ্গলের। তবে, জার্সি খুলে সেলিব্রেশনের কারণে হলুদ কার্ড দেখলেন তিনি। 
৪৭ মিনিট: মোহনবাগানকে সমতায় ফেরাতে পারতেন সামাদ। বক্সের মধ্যে শট নিলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। 

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। পাসাং দরজির জায়গায় নামেন কামিংস। 

প্রথমার্ধ শেষ, ১-০ গোলে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। 

৩৬ মিনিট: পেনাল্টি পেল ইস্টবেঙ্গল। দিয়ামান্তাকোসের গোলে এগিয়ে গেল লাল-হলুদ। সঠিক দিকে ঝাঁপিয়েও দুর্গ অক্ষত রাখতে পারেননি বিশাল। 
২৬ মিনিট:  যদিও তার আগে একপ্রস্থ নাটক হয়। অলড্রেডের থেকে বল কেড়ে নেন মহেশ। বক্সের একেবারে সামনে ফাউল করে বসলেন অলড্রেড। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফ্রিকিক পেয়েও গোল করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল।

১৫ মিনিট: ফ্রিকিক ইস্টবেঙ্গলের। মিগুয়েলের নির্বিষ শট। 

প্রথম কোয়ার্টারেই ধাক্কা লাল-হলুদের। চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ইস্টবেঙ্গলের হামিদ। পরিবর্ত হিসাবে নামলেন দিয়ামান্তাকোস।

১১ মিনিট: ফ্রিকিক পায় মোহনবাগান। আপুইয়ার দুর্বল শটে কাজের কাজ হয়নি।
৩ মিনিট: প্রথম আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল। এডমুন্ডের শট বাঁচালেন বিশাল। 
সন্ধে ৭টা: ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে মেগা ডার্বির কিক অফ।

কিক অফের আগেই দুই দলের সমর্থকরা গ্যালারিতে টিফো প্রদর্শন করেন।

ছবি: অমিত মৌলিক
ছবি: অমিত মৌলিক

মূলত খেলা সম্পর্কিত টিফোই এনেছিলেন। কোনওটিতে দেখা গিয়েছে, ‘জনঅরণ্যে’র মতো বিখ্যাত ছবির দৃশ্য তুলে ধরে মোহনবাগানের জয়গান করা হয়েছে।

ছবি: অমিত মৌলিক

লাল-হলুদ সমর্থকরা বরাবর অভিযোগ করেন মোহনবাগান টানা ভালো পারফর্ম করছে রেফারি ম্যানেজ করে। টিফোতে সেটারই পালটা বলা হয়েছে, “ম্যানেজ নয়, মান দিতে শিখুন।” একটি টিফোতে আবার দেখানো হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের ট্রফিজয়ের সব স্বপ্ন আটকে দিচ্ছে মোহনবাগান। সবটাই হয়েছে মজার ছলে।

ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের টিফোতে ঝরে পড়ল বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির অস্মিতা এবং ভালোবাসা।

ছবি: অমিত মৌলিক

দেখে নিন মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
বিশাল (গোলকিপার), অলড্রেড, থাপা, লিস্টন, সাহাল, আলবার্তো, পাসাং, অভিষেক, ম্যাকলারেন (অধিনায়ক), আশিস, আপুইয়া

দেখে নিন ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ
সুখান (গোলকিপার), রাকিপ, কেভিন, আনোয়ার, নুঙ্গা, ক্রেসপো, মহেশ (অধিনায়ক), মিগুয়েল, বিপিন, এডমুন্ড, হামিদ। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement