Advertisement
Advertisement
Mohun Bagan

একমাসের মধ্যে হারিয়েছেন মা-বাবাকে, শোক নিয়েই প্রিয় মোহনবাগানকে সমর্থনে মাঠে যুবক

শোক সঙ্গে করে যুবভারতীতে এসেছেন তিনি।

Fans on the field in support of their beloved Mohun Bagan, mourning
Published by: Prasenjit Dutta
  • Posted:August 17, 2025 7:46 pm
  • Updated:August 17, 2025 8:11 pm   

প্রসূন বিশ্বাস: ডার্বি সমর্থকদের কাছে আবেগের ম্যাচ। ভালোবাসার ম্যাচ। প্রাণের এই বড় ম্যাচ ঘিরে কত ‘কান্নাহাসির-দোল-দোলানো পৌষ-ফাগুনের পালা’। যদিও এখন ভরা বর্ষা। এই সময়েই মাত্র এক মাসের মধ্যে মা-বাবা দু’জনকেই হারিয়েছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। তবে, শোক সঙ্গে করে সোজা যুবভারতীতে ডুরান্ড ডার্বি দেখতে হাজির হয়েছেন তিনি।

Advertisement

ডুরান্ড ডার্বিতে যখন দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের দ্বৈরথ, তখনই বিষাদের চোরাস্রোত নিয়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছলেন প্রসেনজিৎ। এয়ারপোর্ট অঞ্চলের এই যুবকের আগমন যেন প্রমাণ করে দেয়, ফুটবল আসলে এগিয়ে চলার থাকার মন্ত্রে দীক্ষিত করে।

মোহনবাগানের ভক্ত প্রসেনজিৎ। সবুজ-মেরুনের টানেই দুঃখের পথ পেরিয়ে গুরুদশা অবস্থাতেই মাঠে এসেছেন তিনি। কেন দুঃখ নিয়েও এসেছেন? বললেন, “মোহনবাগান আমার নিজের মা। আমার মাকে জেতানোর জন্য মাঠে এসেছি। কোনও ম্যাচ আমি মিস করি না। বাবা-মা যখন থাকতেন বাড়িতে বলে আসতাম দলকে জেতাতে যাচ্ছি। আজ প্রিয় দলকে জেতানোর পর মা বাবাকে উৎসর্গ করব।”

ডুরান্ড ডার্বিতে দুই স্প্যানিশ কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই। সেমিফাইনালে উঠতে মরিয়া মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল দুই শিবিরই। চোটের জন্য নামতে পারেননি মনবীর সিং ও কিয়ান নাসিরিকে। ইস্টবেঙ্গলে নেই মহম্মদ রশিদ। এই আবহেই কলকাতার দুই প্রধানের লড়াই যুবভারতীতে। আবেগের, ভালোবাসার, লড়াইয়ের সেই বড় ম্যাচ দেখতে প্রসেনজিৎ যেন দুঃখকে জয় করেই এসেছেন। মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল লড়াই তো চলবেই। কিন্তু মাঠের বাইরে এমন আবেগের জন্যই বেঁচে থাকে ফুটবলের প্রতি বাঙালির ভালোবাসা। সেখানে জয়ী হয় ফুটবল। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ