মোহনবাগান: ৫ (ক্রোমা, ডিকা-২, ফৈয়াজ, সোনি)
চার্চিল ব্রাদার্স: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডার্বিতে চোট পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে চেপে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছিল। ফলে মাঝে ক’দিন প্র্যাকটিসে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না ডিপান্ডা ডিকা। কিন্তু শনিবারই প্র্যাকটিসে নজর কাড়েন তিনি। সম্পূর্ণ ফিট ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড অনুশীলনে দুটি গোলও করেন। আর রবিবাসীয় বারাসতে এক্কেবারে একই ছন্দে নিজেকে মেলে ধরলেন বাগান ফরোয়ার্ড। চার্চিলের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে সবুজ মেরুনের সহজ জয়ের অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে উঠলেন।
ডার্বি জয়ের পরই পচা শামুকে পা কাটার অতীত ইতিহাস রয়েছে ময়দানে। তার উপর আবার শনিবারই শিলংকে পাঁচ গোলের মালা পরিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরেছে ইস্টবেঙ্গল। এই অবস্থায় যে কোনওভাবেই পয়েন্ট নষ্ট করা চলবে না, তা ভালই জানতেন সোনিরা। তাই ডার্বির দল নিয়েই চার্চিলের বিরুদ্ধে ঝাঁপানোর সিদ্ধান্তই নেন সঞ্জয় সেন। এদিন শুধু নরহরির জায়গায় শুরু থেকেই ছিলেন ফৈয়াজ। যিনি সোনি-ক্রোমা-ডিকা সমৃদ্ধ বাগান ফরোয়ার্ড লাইনের মধ্যেও আলাদা করে নজর কাড়লেন। ক্রোমার দুর্দান্ত ক্রস থেকে জালে বল ঠেলে দিতে ভুল করেননি। সেই সঙ্গে ক্রোমার একটি নেপথ্যেও রইল ফৈয়াজের নাম।
. blank 5-0 with a 5⭐️ performance in a goal fest at the Barasat Stadium.
— Hero I-League (@ILeagueOfficial)
যতদিন যাচ্ছে, সবুজ-মেরুন জার্সিধারীরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, দলের অনেকের মধ্যে গোল করার দক্ষতা রয়েছে। আজ একজন দায়িত্ব নিচ্ছে তো কাল অন্যজন। এদিন যেমন দুটি গোল করিয়ে এবং একটি গোল করে সমর্থকদের মন জিতে নিলেন সোনালি চুলের লাইবেরিয়ান ক্রোমা। দুরপাল্লার শটে শুরুতে দলকে এগিয়ে দেওয়ার কাজটা করলেন তিনিই। আর দুবার বল জালে জড়িয়ে গোল পার্থক্যে ভাল জায়গা ধরে রাখলেন ডিকা। তবে ভক্তদের চোখের মণি হয়ে রইলেন সেই অধিনায়ক সোনিই। খেলার সময় চোট পেলেও মাঠ ছাড়েননি। সঞ্জয় সেনেরও যেন বিশ্বাস ছিল, সোনি পারবেন। বিশ্বাসের মর্যাদা রাখেন। দুটি সুযোগ হাতছাড়া করার পর সোলো রানে বল এনে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে চলতি আই লিগের দ্বিতীয় গোলটি করলেন হাইতিয়ান স্ট্রাইকার। কিন্তু জয়ের সেলিব্রেশনও করা হল না। চোটের যন্ত্রণায় সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লেন। স্ট্রেচারে করে বের করা হল তাঁকে।
তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ তালিকার শীর্ষে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। পাঁচ গোলে দল জিতলেও চার্চিল ম্যাচের পর সঞ্জয় সেনের কপাল থেকে চিন্তার ভাঁজ সরল না। মোহনবাগান যেন পরিণত হল মিনি হাসপাতালে। ইউটার কলার বোন, অরিজিত বাগুইয়ের গোড়ালি, সোনি, ফৈয়াজ সকলেই চোট পেলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.