স্টাফ রিপোর্টার: ডার্বি পিছিয়ে গিয়েছে এক সপ্তাহ। এই সময়ের মধ্যে কল্যাণী স্টেডিয়ামে দ্রুত বড় ম্যাচের পরিকাঠামো তৈরি করে ম্যাচ আয়োজনে নেমে পড়েছে আইএফএ। সিদ্ধান্ত হয়েছে, দশ হাজার দর্শক দেখতে পাবেন ডার্বি। এই দশ হাজারের মধ্যে আপাতত ঠিক হয়েছে দুই প্রধানকে এক হাজার করে টিকিট দেবে রাজ্য ফুটবল সংস্থা। বাকি আট হাজার টিকিটের মধ্যে কিছু আইএফএ অফিস বেয়ারার ও ক্লাবগুলোর জন্য রেখে বাকি টিকিট অনলাইনে বিক্রি করবে তারা। শনিবার থেকে লিগের ডার্বির অনলাইন টিকিট পাওয়া যাবে একটি নির্দিষ্ট অ্যাপে।
ডার্বিতে দর্শকের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য খাবারের ব্যবস্থা থাকছে। গ্যালারিতেই সেই খাবার নিয়ে দর্শকদের কাছে যাবেন বিক্রেতারা। গ্যালারির নিচে থাকছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। দর্শকদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, প্রত্যেক গ্যালারিতে ডাক্তার থাকবেন। দর্শকদের জন্য আলাদা অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের গ্যালারি যাতে মিশে না যায়, তার উপর নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটা গ্যালারিতে আলাদা করে ফেন্সিং দেওয়া হচ্ছে, যাতে এক গ্যালারির দর্শক অন্য গ্যালারিতে যেতে না পারে। সারা মাঠে ঘুরে বেড়াবে ঘরোয়া লিগের ম্যাসকট ‘গোপাল ভাঁড়’। দর্শকদের জন্য থাকছে ডিপোজিট কাউন্টার। যে কাউন্টারে দর্শকরা হেলমেট, ব্যাগ এইসব রাখতে পারবেন।
তবে ডার্বির টিকিট বণ্টন নিয়ে খুশি নন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস। তিনি বলেন, “ডার্বিতে ক্লাবগুলোকে আরও বেশি টিকিট দেওয়া উচিত। এই ম্যাচটার দিকেই তো সবাই তাকিয়ে থাকে। প্রত্যাশা অনেক বেশি। কেন এই ম্যাচটা কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে না করে কল্যাণীতে নিয়ে যাওয়া হল? তা হলে আর ডার্বি ম্যাচ কেন, ডার্বি শব্দটা সরিয়ে এমনি ম্যাচ বললেই তো পারে। সাতদিন আগে যেখানে নিরাপত্তার অভাবে বাতিল হল ম্যাচটা, সাতদিন পর সেখানেই ম্যাচটা হচ্ছে? কল্যাণীতে এই ম্যাচ নিয়ে যাওয়ার কোনও মানে হয় না।” পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “ডার্বিতে দুই ক্লাবকে এক হাজার করে টিকিট দেবে শুনেছি। সেটা যদি দু’হাজার হত, তা হলে ভালো হত। এই ম্যাচে টিকিটের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। যদিও কল্যাণীতে খুব বেশি মানুষ স্টেডিয়ামে এসে খেলা দেখতে পারবে না। মাত্র দশ হাজার মানুষ খেলা দেখতে পারবে। সেটাও ঠিক।”
টিকিট বণ্টন প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, “এই ডার্বিতে আমরা সবথেকে বেশি নজর দিচ্ছি দর্শকদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে। যাতে তাঁরা খেলা দেখতে এসে ভালো পরিষেবা পান। শনিবার থেকে ডিস্ট্রিক্ট বাই জোম্যাটো অ্যাপে টিকিট কাটতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা।”
আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএফএ। গত ম্যাচ জিতে উঠেই কল্যাণীর মাঠ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজো। তিনি বলেছিলেন, এই মাঠ ডার্বির উপযুক্ত নয়। ডার্বিতে যাতে ভালো মাঠ পান দুই দলের ফুটবলাররা, সেজন্যই এই এক সপ্তাহ কল্যাণী স্টেডিয়ামে ঘরোয়া লিগের কোনও ম্যাচ দিচ্ছে না রাজ্য ফুটবল সংস্থা। এই সময়ের মধ্যে মাঠ পরিচর্যা করা হবে। যাতে ডার্বিতে ভালো মাঠ পান তন্ময় দাস, সন্দীপ মালিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.