ইরান: ৩ (আমির হোসেন, আলিপোরঘারা, তারেমি)
ভারত: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হতে পারত একটা অসম লড়াই। কাফা কাপের প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানকে হারালেও এবার যে সামনে ইরান! বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১১৩ ধাপ এগিয়ে থাকা দল। তাদের সঙ্গে আর কতটা লড়াই দিতে পারবে খালিদ জামিলের ভারত? যাঁরা এরকম ভেবেছিলেন, তাঁরা যে ভুল ভেবেছিলেন, তা কিন্তু প্রমাণ করে দিলেন সন্দেশ ঝিঙ্ঘান। সে স্কোরবোর্ড যাই বলুক। ভারত ৩-০ গোলে হারল ঠিকই, তবে গোটা ম্যাচ জুড়ে অনেক সীমাবদ্ধতা নিয়েও লড়াই করতে ছাড়ল না ব্লু টাইগার্সরা।
আবার লড়াই মানে কিন্তু শুধু একপাক্ষিক রক্ষণ আগলানো নয়। হ্যাঁ, ম্যাচের অধিকাংশ সময় সেটা করতে হয়েছে ঠিকই, তবে আক্রমণও করেছে ভারত। খুব কঠিন পরীক্ষায় ইরানকে না ফেললেও প্রথমার্ধে অন্তত চাপ তৈরির একটা চেষ্টা ছিল। কাফা কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে খালিদ সাজিয়েছিলেন কার্যত ৭-২-১ ফর্মেশনে। যেন ‘পার্ক দ্য বাস’ সিস্টেম, অর্থাৎ রক্ষণে ভিড় জমানো। ইরফান ইদওয়াদ শুধু আক্রমণে। মাঝমাঠে সুরেশ সিং, দানিশ ফারুকরা রক্ষণ সামলানোর জন্যই নেমেছিলেন। আশিক কুরুনিয়ান বা বিক্রম প্রতাপ সিংরা দুই উইংয়ে থাকলেও কার্যত সাইড ব্যাকের ভূমিকা পালন করেছেন। এটা ঠিক যে, ইরানের প্রথম একাদশে মেহেদি তারেমি বা জাহানবকশের মতো তারকা ফুটবলার ছিলেন না। তবু মাঝমাঠে ভিড় জমিয়ে ইরানকে কিছুতেই গুছিয়ে উঠতে দেননি খালিদ জামিল। প্রথমার্ধে ইরানকে গোল করতে দেননি সন্দেশ ঝিঙ্ঘান, আনোয়ার আলিরা। গোলপোস্টের তলায় ফের দায়িত্ববান ভূমিকায় অবতীর্ণ গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা অনেকটা একই রকম। ইরানের আক্রমণ বনাম ভারতের রক্ষণ। এর মধ্যে ৫৪ মিনিটে একাধিক বদল করেন খালিদ। জিকসন ও চিংলেনসানাকে নামিয়ে সম্ভবত আরও রক্ষণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু নতুন দুই ফুটবলার গুছিয়ে ওঠার আগেই জালে বল জড়িয়ে দেয় ইরান। ৫৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা ক্রসের নাগাল পাননি রাহুল ভেকে। সেই সুযোগে গোল করেন আমির হোসেন। গোল হজম করেও কিন্তু নিজেদের গেমপ্ল্যান থেকে সরেনি ভারত। কিছুক্ষণ পরেই মেহেদি তারেমি ও জাহানবকশকে নামায় ইরান। তাতেও ৮৯ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করেছিল ব্লু টাইগার্সরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ইন্টার মিলানের প্রাক্তন স্ট্রাইকার তারেমি একক দক্ষতায় ভারতীয় ডিফেন্ডারদের টেনে নিয়ে এসে বল বাড়িয়ে দেন জাহানবকশের দিকে। তার শট গুরপ্রীত সেভ করলেও ফিরতি বলে গোল করেন আলিপোরঘারা। ৯৩ মিনিটে ফের তারেমি-জাহানবকশ জুটির সাফল্য। দ্বিতীয়জন বল বাড়ালেন, প্রথমজন অনায়াসে গোল করলেন।
তবু ৩-০ গোলে ম্যাচ হারার শেষে লড়াইয়ের আত্মবিশ্বাস থেকে যাবে ভারতের জন্য। ফিটনেসে অনেক পিছিয়ে, শারীরিক শক্তিতেও পাল্লা দিতে পারছেন না ইদওয়াদরা। সেই খামতিগুলো কিন্তু লড়াকু মানসিকতা দিয়ে ঢেকে দেওয়ার অনেকটা চেষ্টা করেছিল খালিদের ছেলেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.