Advertisement
Advertisement
CAFA cup

‘খালিদকে বেছে এতটুকু ভুল করেনি ফেডারেশন’, কাফা কাপে ভারতের সাফল্যে খুশি মনোরঞ্জন

আনোয়াররা খোলা মনে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে নামবে।

Manorajan Bhattacharya happy with India success in CAFA cup

ফাইল ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:September 10, 2025 4:09 pm
  • Updated:September 10, 2025 4:09 pm   

মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: প্রথমেই কাফা নেশনস কাপে তৃতীয় হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানাই খালিদ জামিল-সহ পুরো ভারতীয় দলকে। অনেকেই বলতে পারেন, আমন্ত্রণমূলক এই প্রতিযোগিতায় সব দেশগুলো সেরা দল আনে না। তাই এই প্রতিযোগিতার তেমন গুরুত্ব নেই, যতটা গুরুত্ব রয়েছে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচগুলোর। আমি এই প্রসঙ্গকে সরিয়ে রেখে কাফায় তৃতীয় হওয়াকে একটা কারণেই গুরুত্বপূর্ণ বলব। এই জয় গুরপ্রীতদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিল অনেকটাই। যে আত্মবিশ্বাসটা ভারতীয় দলের গত কয়েক মাসের ফলাফলের জেরে হারিয়ে যেতে বসেছিল। আর একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ভারতও কিন্তু সেরা দল নিয়ে যায়নি, মোহনবাগান ফুটবলার না ছাড়ায়।

Advertisement

আগের কোচ মানোলো মার্কুয়েজ যে অবস্থায় দলটাকে ছেড়ে গিয়েছেন, সেটা সুখের বিষয় ছিল না আমাদের জন্য। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে আমরা নেমে গিয়েছি ১৩৩ নম্বরে। যখন একটা দল ভালো খেলতে পারে না, ফলাফল আশানুরূপ হয় না, তখন ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে চলে যায়। সেই দিক দিয়ে দেখতে গেলে, আমাদের ছেলেদের আত্মবিশ্বাস তেমনই জায়গায় চলে গিয়েছিল। আশা করছি, সোমবারের ওমান ম্যাচের পর আনোয়াররা খোলা মনে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে নামবে।

আরও একটা কথা বলব। কারণ যাই হোক, খালিদকে নির্বাচন করে এতটুকু ভুল করেনি ফেডারেশন। বিদেশি কোচ এনে কী ফল হয়েছে, তা তো দেখেছি এতদিন। তার থেকে খালিদের মতো কোচ, যে আইএসএলে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে তাঁকে সুযোগ দেওয়া উচিত। আর খালিদও পাওয়া সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় যে খুব দুরন্ত খেলেছে ভারত, তা বলছি না। ইরান ম্যাচে লড়াই করে হেরেছে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ড্র করেছে। কিন্তু এর পরেও তাজিকিস্তান এবং ওমানকে হারিয়েছে। দায়িত্ব নিয়েই খালিদ দেখে নিতে পারল, দলের কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে। অক্টোবরের সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে সেটা ভালো দিক।

আমি খালিদকে কাছ থেকে দেখেছি। বরাবর ওর ডেডিকেশন আকৃষ্ট করে আমাকে। এটাই ওকে আর ওর দলকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। ফুটবলারদের মধ্যে একতা আনতে সফল খালিদ। একটা দলের সাফল্য এই বিষয়ের ওপর নির্ভর করে অনেকটাই। চারটে ম্যাচ দিয়ে একটা লোকের কোচিংকে বিচার করা যায় না ঠিকই। আবার একজন কোচ দলকে কীভাবে এগিয়ে যেতে চান, তার আভাস চার ম্যাচেই পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে বলতে পারি, জাতীয় দলে কোচ হিসাবে সূচনাটা ভালোই করল খালিদ। আরও একটা ইতিবাচক দিক হল, এদেশের ফুটবল আর ফুটবলারদের সম্পর্কে সবকিছু ওর জানা আছে। যা একজন জাতীয় কোচের জন্য খুব ভালো দিক। দেশের কোন প্রান্তে কোন ফুটবলার কেমন পারফর্ম করছে সেটা যদি জাতীয় কোচ জানেন, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মকে তুলে আনতে সুবিধা হয়। এই মুহূর্তে আগামী দিনের কথা মাথায় রেখে ওকে কিন্তু বেশ কিছু নতুন ফুটবলারও তুলে আনতে হবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ