Advertisement
Advertisement
Mohun Bagan

আহালের কাছে হারে সমর্থকদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগান! পাত্তাই দিচ্ছেন না মোহনবাগান কোচ মোলিনা

ফিটনেস নিয়ে সমস্যা মানতে নারাজ মোলিনা।

Mohun Bagan coach Jose Molina is not bothered about supporters go back slogan

মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। ফাইল চিত্র।

Published by: Arpan Das
  • Posted:September 17, 2025 12:57 pm
  • Updated:September 17, 2025 1:04 pm   

শিলাজিৎ সরকার: ম্যাচ শেষে ততক্ষণে টানেলে ঢুকে পড়েছেন ফুটবলাররা। মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা তখনও ডাগআউটের সামনে সহকারীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে। হঠাৎ করেই গ্যালারি থেকে তাঁর উদ্দেশ্যে ভেসে এল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান! শুনে-টুনে ভাবলেশহীন মুখে ড্রেসিংরুমের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন মোহনবাগান হেডস্যর।

Advertisement

এএফসি-র বিচারে মঙ্গলবারের মোহনবাগান বনাম আহাল এফকে ম্যাচের সেরা হয়েছেন বিশাল কাইথ। পরাজিত দলের গোলকিপার যখন ম্যাচের সেরা হয়, তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় জয়ী দলের দাপট কতটা ছিল। যদিও ম্যাচ শেষে বিশাল বা তাঁদের হেডস্যর হোসে মোলিনা দাবি করে গেলেন, সুযোগ নষ্টের খেসারত দিয়ে ম্যাচ হেরেছেন তাঁরা। নয়তো তাঁদের দল ভালোই খেলেছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মোলিনা বলছিলেন, “কঠিন ম্যাচ ছিল দুই টিমের জন্য। বল পজেশনে এগিয়ে ছিলাম। কিছু ভালো চান্সও তৈরি করেছি। আবার বিশাল কিছু ভালো সেভও করেছে। তবে আমরা কাজের কাজটা করতে পারিনি, যেটা ওরা করেছে।” সেই সুরেই বিশাল বলছিলেন, “আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। না হলে ফলাফল অন্য হতেই পারত। ওরা সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। সেটাই তফাত গড়ে দিল শেষ পর্যন্ত।” রক্ষণের প্রশংসা করে বিশাল বলছিলেন, “ডিফেন্ডাররা ভালো খেলেছে। তাও গোলটা খেলাম। সেটা ঠেকাতে পারলে ভালো হত। আর নিজেরা গোল করতে পারলে তো অন্য ফলাফল হত। এই ম্যাচ থেকে একটা পয়েন্ট তো পেতেই পারতাম।”

ছয় সপ্তাহ অনুশীলন করেও এখনও যে মোহনবাগান ফুটবলারদের সবাই পুরোপুরি ফিট নন, বোঝা গিয়েছে ম্যাচে। যদিও দলের ফিটনেস ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন শুনে কিছুটা বিরক্তই হলেন মোলিনা। সাংবাদিকদেরই পাল্টা প্রশ্ন করলেন “কাদের ফিটনেস নিয়ে আপনাদের সন্দেহ আছে?” প্রায় সবারই, বলে সাংবাদিকরা পাল্টা জবাব দিতেই তিনি বললেন, “সেটা আপনাদের মনে হচ্ছে, আমার মত নয়।” একই প্রশ্নের উত্তরে বিশাল বলেন, “আমরা অনেকদিন পর ম্যাচ খেললাম। ডুরান্ড কাপের পর। ওরা ১৬ ম্যাচ খেলে এসেছে। আমরা আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে ভালো হত। এমন নয় যে ফিটনেসে পিছিয়ে ছিলাম।”

তুর্কমেনিস্তানের আহাল এফসি-র স্কোয়াডে কোনও বিদেশি নেই। সেখানে মোহনবাগানে ছ’জন থাকলেও সবাইকে ব্যবহার করলেন না মোলিনা। কেন মাত্র তিন বিদেশিকে প্রথম একাদশে রাখলেন তিনি? মোলিনার ছোট্ট জবাব, “আমি তাদেরই মাঠে নামাই যাদের দেখে মনে হয় যে দলের জয়ে অবদান রাখতে পারবে।” প্রতিপক্ষকে সম্মান জানিয়েও তাঁর দাবি, ছাত্ররা ভালো খেলেছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ