দুলাল দে: ভূ-ভারতে সবাই জানেন, হংকং ম্যাচে হারের পরই জাতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কোচ মানোলো মার্কেজ। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা আপাতত ধামাচাপা দিয়ে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটি থেকে মানোলোর পদত্যাগটা পাশ করাতে চাইছেন। এরকমটা করার একটাই উদ্দেশ্য, পরবর্তী ক্ষেত্রে কোনওভাবে যেন মানোলো ইস্যুটা ফেডারেশন সভাপতির ঘাড়ে এসে না পড়ে। কারণ, এর আগে ইগর স্টিমাচকে জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পুরো ইস্যুটা গিয়ে পড়েছিল কল্যাণ চৌবের ঘাড়ে। এবার তাই মানোলো পদত্যাগ করে দেওয়ার পরেও সভাপতি জানিয়েছেন, ২৯ জুন ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হবে।
আগে ঠিক ছিল, ২৯ জুন কার্যকরী কমিটির মিটিং হবে। কিন্তু এখন দিন বদলে কার্যকরী কমিটির মিটিং হবে ২ জুলাই। সেখানে বিভিন্ন ইস্যুর সঙ্গে মানোলোর বিষয়টিও তোলা হবে। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু সুব্রত পালের একটি চিঠি ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে কার্যকরী কমিটির সদস্যদের মধ্যে। এতদিন ধরে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির সদস্যরা বলছিলেন, যদি মিটিংয়ে সবাই বলেন, মানোলোকে রেখে দেওয়া হবে, তাহলে কি মানোলোকে ফের জাতীয় কোচ হিসেবে রেখে দেওয়া যাবে? তাহলে এই ইস্যুটা নিয়ে আলোচনার অর্থ কী? নিয়ম হচ্ছে, কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ের আগে বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানরা ফেডারেশনের সব বিভাগের কাছেই চিঠি পাঠিয়ে নতুন আলোচনার বিষয় জানান, যাতে আলোচ্যসূচিতে তা রাখা যেতে পারে। ২ জুলাই ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ের আগেই একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সবাইকে। যেখানে তিনি লিখেছেন, মানোলোর পদত্যাগের পর নতুন কোচের বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। ঠিক করতে হবে স্বদেশি কোচ না কি বিদেশি কোচ জাতীয় দলের হাল ধরবেন?
জাতীয় দলের ডিরেক্টর সুব্রত পালের এরকম চিঠি পেয়ে কার্যকরী কমিটির সদস্যরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। একদিকে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলছেন, ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে ঠিক হবে মানোলোর ভবিষ্যৎ। আবার ডিরেক্টর সুব্রত পাল চিঠি দিয়ে বলছেন, মিটিংয়ে নতুন কোচ নিয়ে সিদ্ধান্ত আলোচনা করতে। যার অর্থ, মানোলো বিদায় নিয়েছেন, তিনি জানেন। মানোলো পদত্যাগ করেছেন, জাতীয় দলের ডিরেক্টর জানেন। সভাপতি জানেন না, এরকমটা হয় না কি!
এখানেই শেষ নয়। জাতীয় দলের ব্যর্থতা নিয়ে বলতে গিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের সামনে সুব্রত পাল জানিয়েছেন, ফুটবলারদের দেখে মনে হয়েছে, জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় দেশের প্রতি সামান্য দায়বদ্ধতা নেই। খোদ টিম ডিরেক্টর বলছেন, ফুটবলারদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। ফুটবলারদের দায়বদ্ধতা নিয়ে এরকম একটা মন্তব্য যখন করছেন সুব্রত পালের মতো প্রাক্তন ফুটবলার, তখন ফুটবলারদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হতে বাধ্য। সুব্রত পালের বক্তব্য টেকনিক্যাল কমিটির মিটিংয়ে মিনিটসে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.