সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ফুটবল সম্পর্কিত কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয়। শীর্ষ আদালত শুধু কোনও বেনিয়ম বা সমস্যা তৈরি হলে সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হতে পারে। AIFF-এর নতুন সংবিধান নিয়ে দায়ের হওয়া আর্জির ভিত্তিতে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত এ প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির পরামর্শ চেয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ফেডারেশনের নতুন সংবিধান নিয়ে যে রায় দিয়েছিল, তারই একটা ধারা নিয়ে নতুন করে মূল্যায়ণ চেয়েছিলেন ফেডারেশনের আইনজীবী। ফেডারেশনের নতুন সংবিধানে ২৫.৩ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ফেডারেশনের কার্যকারী কমিটির সদস্য হলে তাঁকে রাজ্য সংস্থার পদ ছাড়তে হবে। যার অর্থ, রাজ্য ফুটবল সংস্থা অথবা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার মধ্যে সদস্য হিসাবে থাকার জন্য যে কোনও একটি সংস্থাকে বেছে নিতে হবে। এখানেই হচ্ছে মূল সমস্যা। ফেডারেশনের বর্তমান কার্যকরী কমিটিতে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস-সহ বেশিরভাগ সদস্যই কোনও না কোনও রাজ্য ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে আছেন। যাঁরা ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি রাজ্য ফুটবল সংস্থার কার্যকরী কমিটিরও সদস্য। ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরাই। ফেডা১রেশনে বর্তমান এই কমিটির মেয়াদ রয়েছে আরও আট মাসের মতো। তারপরেই রয়েছে নির্বাচন। এই কমিটিতে এখন থাকতে গেলে রাজ্য ফুটবল সংস্থার পদ ছেড়ে দিতে হবে।
এদিকে আট মাস পরে ফেডারেশনের নির্বাচনে বর্তমান কার্যকরী কমিটির সদস্যরাই যে নির্বাচিত হবেন এরকম কোনও গ্যারান্টি নেই। সেইরকম হলে ফেডারেশনের পদও যাবে আবার রাজ্য ফুটবল সংস্থার পদও হাতছাড়া হবে। বলতে গেলে প্রশাসক হিসাবে ফুটবল মহল থেকে হারিয়ে যেতে হবে। তাই ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির বহু সদস্যরাই চাইছেন না রাজ্য ফুটবল সংস্থার পদ ছেড়ে দিয়ে মাত্র আট মাসের জন্য ফেডারেশনের কমিটিতে থাকতে। আর সত্যি সত্যিই যদি এই রকমটা হয় ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিতে শূন্যতা তৈরি হবে।
এই সমস্যা কাটাতে ওই ধারায় পুনর্মুল্যয়ণ চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ফেডারেশন। ফেডারেশনের আইনজীবীর বক্তব্য, ওই একটি ধারায় আপত্তি রয়েছে ফিফারও। তাই স্পষ্টতা প্রয়োজন। যার প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের পিএস নরসীমা রাও আর এসএস চান্দুরকরের ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, “আমাদের ভারতীয় ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও ইচ্ছা নেই। এই সমস্যাটা আদালতের বাইরেও মেটানো যেত। যাই হোক এ বিষয়ে প্রাক্তন বিচারপতি নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির মতামত নেবে শীর্ষ আদালত।” ওই দুই বিচারপতিই ফেডারেশনের সংবিধান মামলা শুনেছেন। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, যিনি নতুন খসড়া সংবিধান তৈরি করেছেন সেই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাও শনিবার সব পক্ষের কথা শুনবেন। তাঁর রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.